বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে রোগীর স্বজনদের হামলায় এক জরুরি বিভাগের এক কর্মী আহত হয়েছেন। বালিশ ও বিছানার চাদর নিয়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ফারদিন মৃধা নামের এক ইমারজেন্সি অ্যাটেনডেন্টের দাঁত উপড়ে পড়ে যায়। আহত হয়েছেন আরও চারজন।

শুক্রবার (২১ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগের গেটের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই দিন বিকেল ৫টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার বাওয়ালকর গ্রামের নান্না মিয়ার ছেলে আবু বকর (২০) গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হন। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এ সময় রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে তোলার মুহূর্তে দেখা যায়, স্বজনরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের বালিশ ও বিছানার চাদর সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছেন। বিষয়টি দেখে দায়িত্বে থাকা ইমারজেন্সি অ্যাটেনডেন্ট ফারদিন মৃধা বাধা দিলে রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়ে তার ওপর হামলা চালান।

ফারদিনকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে অন্যান্য স্টাফরাও হামলার শিকার হন। ফারদিন মৃধা গুরুতর আহত হন এবং মারধরের সময় তার মাড়ির একটি দাঁত পড়ে যায়। হামলার সময় স্থানীয়রা ও অন্যান্য স্টাফরা এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অভিযুক্ত চার হামলাকারীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

ফারদিন মৃধা বলেন, আমি দুপুর ২টা থেকে জরুরি বিভাগে ডিউটিতে ছিলাম। সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দেখতে পাই, এক রোগীর স্বজনরা বালিশ ও চাদর নিয়ে যাচ্ছে। বাধা দিলে কয়েকজন আমার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে। কিল-ঘুষিতে আমার একটি দাঁত পড়ে যায়। সহকর্মীরা বাধা দিলে তারাও মারধরের শিকার হন। হামলাকারীরা হুমকি দিয়ে বলে, আবারও দেখে নেবে।

এ বিষয়ে বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ভুক্তভোগীর পক্ষ থেকে থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খান নাঈম/ওএফ