পলাশে বিএনপি-ছাত্রদল সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ছাত্রদলকর্মীর মৃত্যু

নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ১৫:৪৬

ইসমাইল হোসেন /ছবি : সংগৃহীত
নরসিংদীর পলাশে বিএনপি-ছাত্রদলের মধ্যে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় আহত ছাত্রদলকর্মী ঈসমাইল হোসেন (২৬) মারা গেছেন।
শনিবার (২১ জুন) দুপুর ২টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি গত ৬ দিন ধরে সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।
ইসমাইলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার বাবা আব্দুর রহিম ভূঁইয়া। নিহত ইসমাইল ঘোড়াশাল পৌরসভার খানেপুর এলাকার বাসিন্দা ও পলাশ থানা ছাত্রদলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন।
জানা গেছে, গত ১৫ জুন সন্ধ্যায় পলাশ উপজেলায় জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল সমর্থকদের সঙ্গে উপজেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে শোডাউনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুলিবর্ষণের ঘটনায় ছাত্রদলকর্মী ইসমাইল হোসেন ও পথচারী সোহেল মিয়া গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় পলাশ থানার ওসিসহ দুই পুলিশ সদস্য এবং অন্তত আরও আটজন আহত হন।
গুলিবিদ্ধ ইসমাইলকে ওইদিন রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরদিন রাতে বিএনপি নেতা ফজলুল কবির জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সিয়াম মিয়া। এই মামলায় গত ১৮ জুন রাতে ফজলুল কবির জুয়েলকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ইসমাইলের বাবা আব্দুর রহিম ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার ছেলেকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। আমরা তার ময়নাতদন্তের পর মরদেহ গ্রহণ করব এবং আজ রাতেই নরসিংদীতে দাফন করব। আমরা হত্যার বিচার চাই ও দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।’
পলাশ থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর পাপন বলেন, ‘ইসমাইল আমাদের ছাত্রদলের কর্মী ছিল। ফজলুল কবির জুয়েলের নির্দেশে তার লোকজন শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা ও গুলি চালায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। আমরা এই বর্বর ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই এবং হত্যায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, ‘আমরা ইসমাইল হোসেনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। তবে এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের কিছু জানায়নি। নিশ্চিত হওয়ার পর আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
সুমন রায়/ওএফ