ভাইকে মারধরের দৃশ্য দেখে স্ট্রোকে বিএনপি নেতার মৃত্যু

হাওরাঞ্চল (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ১৬:০৫

ভাইকে মারধরের দৃশ্য দেখে স্ট্রোকে বিএনপি নেতার মৃত্যু। ছবি : বাংলাদেশের খবর
নেত্রকোনার মদনে বিদ্যালয়ের জমির সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে বড় ভাইকে মারধরের দৃশ্য দেখে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রহুল আমিন (৫৫) নামের এক বিএনপি নেতার মৃত্যু হয়েছে। তিনি মদন উপজেলার তিয়শ্রী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন।
শনিবার (২১ জুন) বিকাল আড়াইটায় তার নিজ গ্রামের বাড়ি শ্রীধরপুরে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, রহুল আমিনের বড় ভাই হাফিজুর রহমান শ্রীধরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। বিদ্যালয়ের জন্য জমি দান করেছিলেন তাদের বাবা হাজী শামছুল হক। তবে ওই বিদ্যালয়ের জমির একাংশ দখল করে সেখানে ঘর নির্মাণ করেন একই গ্রামের আম্বিয়া আক্তার।
এ নিয়ে বিদ্যালয়ের জমি উদ্ধারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেন প্রধান শিক্ষক হাফিজুর। পরে শুক্রবার (২০ জুন) বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সার্ভেয়ার নাসির উদ্দিন জমির সীমানা নির্ধারণে গেলে আম্বিয়াসহ কয়েকজন সার্ভেয়ারকে লাঞ্ছিত করে এবং প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানকে প্রকাশ্যে মারধর করে।
এ দৃশ্য দেখে ফেলেন তার ছোট ভাই রহুল আমিন। এ সময় তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং সঙ্গে সঙ্গেই স্ট্রোক করেন। পরে দ্রুত তাকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে সেখান থেকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
বড় ভাই শিক্ষক হাফিজুর রহমান বলেন, বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণের সময় আমাকে যখন এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সামনে আম্বিয়াসহ কয়েকজন মারপিট করে। এ সময় আমার ছোট ভাই বিষয়টি সহ্য করতে পারেনি। তাৎক্ষণিক সে স্ট্রোক করে। পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমার ভাই মারা যায়।
উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আকন্দ বলেন, ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি রহুল আমিনের মৃত্যুতে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। এ নিয়ে জেলা বিএনপিও শোকবার্তা দিয়েছে।
রহুল আমিনের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে শোকবার্তা দিয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের সহকারী সচিব মির্জা হায়দার আলী।
নিজাম তালুকদার/এমবি