নারায়ণগঞ্জে গ্যাস সংকটে শতাধিক কারখানার উৎপাদনে ধস
পরিদর্শনে পেট্রোবাংলা চেয়ারম্যান ও তিতাস এমডি

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জুন ২০২৫, ১৯:০৬

নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান ও তিতাস গ্যাসের এমডি শাহনেওয়াজ পারভেজ। ছবি : বাংলাদেশের খবর
নারায়ণগঞ্জে আড়াইহাজার উপজেলার তীব্র গ্যাস সংকটে শতাধিক শিল্প কারখানার উৎপাদনে ধস নেমেছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন কারখানার মালিকরা। প্রায় তিন বছর ধরে গ্যাস সংকটের এ চিত্র বলে অভিযোগ করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ অবস্থায় শনিবার (২১ জুন) নারায়ণগঞ্জে সরেজমিন পরিদর্শনে যান বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান ও তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহনেওয়াজ পারভেজ।
তারা বলছেন, কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (সিএনজি) ও ডিজেলচালিত জেনারেটরে খরচ বাড়ার কারণে বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়। কমেছে উৎপাদন সক্ষমতা। দ্রুত এ পরিস্থিতি বদলানো না গেলে লোকসানের পাল্লা আরও ভারী হবে।
আড়াইহাজার উপজেলার দুপ্তারা ইউনিয়নের খানপাড়া এলাকায় অবস্থিত লিড প্লাটিনাম সনদপ্রাপ্ত, সবুজ কারখানার স্বীকৃতি পাওয়া ‘মিথিলা টেক্সটাইলের ওভেন ডাইং’ কারখানা পরিদর্শন শেষে চেয়ারম্যান মো. রেজানুর রহমান বলেন, ‘আমি সরেজমিনে গ্যাস সরবরাহ পরিস্থিতি দেখতে এসেছিলাম। গ্যাস সংকটের সত্যতা পেয়েছি। আমরা এ সংকট উত্তরণে কাজ করছি।’
মিথিলা গ্রুপের চেয়ারম্যান আজহার খান জানান, ২০২৪ সালের অক্টোবরের পর থেকে গ্যাসের চাপ দিনের বেলায় শূন্য দশমিক ৫ থেকে ১ পিএসআই-এ নেমে আসে। আর রাতের বেলায় দেড় থেকে ২ পিএসআই পাওয়া যায়। এ অবস্থায় কারখানা চালু রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। পুরো উপজেলায় দেড় শতাধিক শিল্প কারখানার উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।
এমডি শাহনেওয়াজ পারভেজ বলেন, সারাদেশেই গ্যাসের সরবরাহ কম। অন্যদিকে, যেখান থেকে গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে, সেখান থেকে আড়াইহাজার উপজেলা সর্বশেষ প্রান্তে অবস্থিত। ফলে অন্য মিল-কারখানাগুলো গ্যাস টেনে নেওয়ার পর আড়াইহাজার এলাকায় গ্যাসের চাপ তেমন থাকে না। সরকার এ সমস্যা থেকে উত্তরণে কাজ করছে।
ইমতিয়াজ আহমেদ/এমবি