ঢাকার ধামরাইয়ে আবদুল মান্নান নামে এক সাংবাদিককে কুপিয়ে জখমের ঘটনায় মামলা হলেও এর বিবরণ ও হামলাকারীদের পরিচয় নিয়ে উঠে এসেছে তিন ধরনের ভিন্ন ভাষ্য।

পুলিশ জানায়, গত ১৫ জুন সন্ধ্যায় ধামরাইয়ের আমতা ইউনিয়নের নান্দেশ্বরী বটতলা এলাকায় হামলার শিকার হন স্থানীয় পত্রিকা ‘সংবাদ দিগন্ত’র সাংবাদিক আবদুল মান্নান। এরপর শুক্রবার (২০ জুন) তার স্ত্রী সালমা আক্তার স্থানীয় এক সাংবাদিকসহ ছয়জনকে আসামি করে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, পূর্ববিরোধের জেরে ছয়জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মান্নানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। দা দিয়ে তার পায়ে কোপ দিলে গুরুতর জখম হন তিনি।

তবে ঘটনার দিন মান্নানের ভাই আবদুল হক থানায় অভিযোগ করেন, ৬-৭ জন কালো মুখোশধারী অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি হামলা চালিয়েছে। সেখানে কাউকে শনাক্ত করা হয়নি। 

আবার ভুক্তভোগী মান্নান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, তাকে সুইচ চাকুর মতো অস্ত্র দিয়ে কুপানো হয়। ওই দিন গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি দাবি করেন, দ্বিতীয় আসামি সুমন ‘ছ্যাঁন দা’ দিয়ে প্রথম কোপ দেন। পরে অপর আসামিরা হামলা চালায়।

এদিকে অভিযুক্ত সাংবাদিক সুমন বলেন, ‘ঘটনার সময় আমি সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম লাবুর কার্যালয়ে ছিলাম।’ চেয়ারম্যান নিজেও তা নিশ্চিত করেন। সুমনের অভিযোগ, ‘মান্নানকে নিয়ে চাঁদাবাজির একটি প্রতিবেদন করায় আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে।’

আহত মান্নান বর্তমানে সাটুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। তার ভাষ্য, ‘তখন আতঙ্কে নাম বলিনি। যাতে আসামিরা পালিয়ে না যায়।’

এ বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

প্রসঙ্গত, এ বছরের ২ এপ্রিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আবদুল মান্নান।

মনোয়ার হোসেন/এমবি