Logo

সারাদেশ

সিলেটে ‘জুলাই-যোদ্ধাকে’ মারধর, এএসআই ক্লোজড

Icon

সিলেট ব্যুরো

প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ০৯:২৪

সিলেটে ‘জুলাই-যোদ্ধাকে’ মারধর, এএসআই ক্লোজড

সিলেটে পুলিশের বিরুদ্ধে ‘জুলাই-যোদ্ধা’ ইসলাম উদ্দিনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (২১ জুন) ভোরে মহানগরের জিতু মিয়ার পয়েন্ট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

অভিযুক্ত লামাবাজার ফাঁড়ির এএসআই জসিম উদ্দিনকে ইতোমধ্যে ক্লোজ করে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি)।

ভুক্তভোগী ইসলাম উদ্দিন মহানগরের শেখঘাট এলাকার নুর মিয়ার ছেলে। তিনি একসময় সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালাতেন। তবে ২০২৪ সালের ‘চব্বিশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে’ গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। এরপর থেকে শারীরিক অক্ষমতার কারণে তিনি চা বিক্রির ছোট ব্যবসার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করছেন।

অভিযুক্ত এএসআই সিলেট কোতোয়ালি থানাধীন লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন।

এ ঘটনায় ইসলাম উদ্দিনের পক্ষে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ (এসএমপি) কমিশনার বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনের সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুল ইসলাম।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে, ইসলাম উদ্দিন ‘জুলাই বিপ্লব’-এর সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হন। চিকিৎসার পর শারীরিক অসুবিধার কারণে তিনি আর অটোরিকশাচালকের পেশায় ফিরতে পারেননি। বর্তমানে তিনি জিতু মিয়ার পয়েন্টে ভ্যানগাড়িতে করে চা বিক্রি করেন।

প্রতিদিনের মতো শনিবারও ভোর ৫টার দিকে দোকান খোলার পর লামাবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত এএসআই জসিম উদ্দিন তার দলসহ সেখানে যান। তিনি ইসলাম উদ্দিনকে প্রশ্ন করেন—এত সকালে দোকান খুলেছেন কেন? উত্তরে ইসলাম উদ্দিন বলেন, তিনি প্রতিদিনই এ সময়ে দোকান খোলেন।

এরপর এএসআই জসিম বলেন, দোকান বন্ধ করো। বন্ধ না করলে ফাঁড়িতে নিয়ে যাব। তখন ইসলাম উদ্দিন নিজেকে একজন ‘জুলাই-যোদ্ধা’ পরিচয় দিয়ে বলেন, তিনি আগে অটোরিকশা চালাতেন। বিপ্লবের সময় মাথায় গুলি লেগেছে। এখনো তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ নন। সংসার চালানোর প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে চা বিক্রি করছেন।

কিন্তু এ পরিচয় দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই এএসআই জসিম উত্তেজিত হয়ে ওঠেন এবং ইসলাম উদ্দিনকে মারধর শুরু করেন। এ সময় তিনি বলেন, তোরা পুলিশ মেরে, অস্ত্র লুট করে, থানা জালিয়ে ‘জুলাই-যোদ্ধা’ হইছোস!

মারধরের সময় এএসআই জসিমের সঙ্গে থাকা এক কনস্টেবলের অনুরোধে তিনি ইসলাম উদ্দিনকে আহত অবস্থায় রাস্তায় ফেলে রেখে চলে যান।

অভিযোগকারী নুরুল ইসলাম জানান, ইসলাম উদ্দিন বর্তমানে এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ বিষয়ে এসএমপির মিডিয়া অফিসার, অতিরিক্ত উপকমিশনার শনিবার সন্ধ্যায় বলেন, বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতোমধ্যে এএসআই জসিমকে ক্লোজ করা হয়েছে এবং একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ডালিম/এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

বাংলাদেশ পুলিশ

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর