ঝিনাইদহে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ বাস্তবায়ন না হলে দেশব্যাপী আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

ঝিনাইদহে বিপ্লবী সরকারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ‘জুলাই ঘোষণাপত্র' ও ‘জুলাই সনদ' দ্রুত বাস্তবায়ন করা না হলে সারাদেশে আবারো আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জেলা জুলাই যোদ্ধা সংসদ। 

রোববার (২২ জুন) দুপুরে ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংগঠনিটির জেলা শাখার আয়োজনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন জুলাই যোদ্ধা সংসদ জেলা শাখার সদস্য সচিব রত্না খাতুন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সংগঠনটির আহ্বায়ক আনিসুর রহমান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখার সদস্য সচিব সাইদুর রহমান, জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক হুমায়ূন কবির, জুলাই যোদ্ধা রাহাত মিয়া, মাসুম বিল্লাহ, সাইফুল ইসলাম মানিকসহ অন্যান্যরা।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ন্যায্য ও যৌক্তিক দাবি ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ প্রদানের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের জন্য যে ৩০ কার্যদিবসের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল, সেই সময়সীমার আর মাত্র ৩ কার্যদিবস বাকি থাকলেও এখন পর্যন্ত কোনও দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই। যে কোনও প্রতিশ্রুতি পূরণ সরকারের নৈতিক ও প্রশাসনিক দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত। এটি আন্দোলনের একক উদ্দেশ্য নয়, বরং দেশের সাধারণ মানুষের ন্যায্য প্রত্যাশারই প্রতিফলন।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঝিনাইদহ জেলা শাখার সদস্য সচিব সাইদুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের পর ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষা জুলাই ঘোষণাপত্র, গণহত্যার বিচার, নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য দৃশ্যমান সংস্কার প্রয়োজন। যা এখনও পর্যন্ত বর্তমান সরকার বাস্তবিক প্রতিফলন ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে। তারা আশা করেন দ্রুত সময়ের মধ্যে জুলাই ঘোষণাপত্র প্রদান, গণহত্যার বিচার শুরু ও  নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য দৃশ্যমান সংস্কার শেষ করে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমুলক নির্বাচন উপহার দেবে।

জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক হুমায়ূন কবির ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জুলাই বিপ্লবে ২ হাজার মানুষের মৃত্যুকে তুচ্ছ করে নির্বাচন-নির্বাচন খেলা  মেনে নেব না আমরা।

তিনি বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র, গণহত্যার বিচার ও দৃশ্যমান সংস্কার হওয়ার পর হবে নির্বাচন। আর তা না হলে সারা দেশে আবারো আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এ জন্য জুলাই বিপ্লবে অংশগ্রহণকারী সকল রাজনৈতিক সংগঠনকে প্রস্তুত থাকার আহবান জানান তিনি।

এম বুরহান উদ্দীন/এএ