নওগাঁয় চালের বাজার অস্থির, কেজিতে বেড়েছে ৫-৬ টাকা

নওগাঁ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৫, ১৮:১২
-6857f317b44d2.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
দেশের বৃহৎ ধান ও চাল উৎপাদনকারী জেলা হিসেবে পরিচিত নওগাঁয় বোরো মৌসুম সদ্য শেষ হলেও চালের বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
পাইকারি ও খুচরা বাজারে এক সপ্তাহের ব্যবধানে চালের দাম কেজিতে বেড়েছে ২ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত।
পাইকারি বাজারে জিরাশাইল বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৬৮-৭০ টাকায়, কাটারি ৭০-৭২, শুভলতা ৬০-৬২, ব্রি আর-২৮ চাল ৬২-৬৪ এবং স্বর্ণা-৫ চাল ৫৫-৫৬ টাকায়। অথচ সপ্তাহখানেক আগেও এসব চালের দাম ছিল ২-৪ টাকা কম। খুচরা বাজারে এ দামের প্রভাব আরও বেশি, সেখানে কেজি প্রতি বেড়েছে ৫-৬ টাকা।
নওগাঁ পৌর শহরের ক্ষুদ্র চালবাজারে জিরাশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৭২ টাকা, কাটারি ৭৫-৮০ টাকা, শুভলতা ৬২-৬৪ টাকা, ব্রি আর-২৮ চাল ৬৫-৬৬ টাকা এবং স্বর্ণা-৫ চাল ৫৮-৬০ টাকা দরে।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, কিছু বড় মিলার ও ব্যবসায়ী কৃত্রিম সংকট তৈরি করে মজুদদারি করছেন। ফলে বাজারে সরবরাহ কমে গেছে এবং দাম বেড়ে গেছে। তবে চালকল মালিকরা বলছেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে ধান কিনতে হচ্ছে বলে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে।
চালবাজার সমিতির সভাপতি মকবুল হোসেন বলেন, ‘এটা পুরো একটা সিন্ডিকেট। সরকারি নজরদারি না থাকার সুযোগে তারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে।’
জেলা চালকল মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘বাজারে স্থিতিশীলতা আনতে যেসব মিলে অতিরিক্ত মজুত রয়েছে, সেখানে অভিযান চালানো প্রয়োজন।’
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফরহাদ খন্দকার জানান, ওএমএস চালু আছে এবং মজুদ পর্যবেক্ষণে মিল পরিদর্শন করা হচ্ছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, চালের দামের কারণ অনুসন্ধানে খাদ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং প্রয়োজনে অভিযান চালানো হবে।
এম এ রাজ্জাক/এআরএস