গরিব জেলেদের চাল ওজনে কম, বিএনপি-জামায়াত নেতাদের ভাগবাটোয়ারা
৮০ কেজির স্থলে ৪০, তালিকা বদলে চাল গেল অন্যদের হাতে

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ জুন ২০২৫, ২১:৩৪
-6859740a8c513.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নে তালিকাভুক্ত ৮৭০ জন জেলের মধ্যে সরকারি বরাদ্দ অনুযায়ী চাল না দিয়ে স্থানীয় বিএনপি ও জামায়াত নেতাদের মধ্যে ভাগবাটোয়ারার অভিযোগ উঠেছে।
কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতি জেলেকে এক মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসে ৮০ কেজি চাল দেওয়ার কথা। তবে বাস্তবে অনেককে ৪০ থেকে ৫০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে জেলেদের পক্ষ থেকে।
চাল বিতরণ কার্যক্রমে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপজেলা কৃষি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মো. জুবায়ের হোসেন বলেন, ‘বিএনপি ও জামায়াত নেতারা সমন্বয় করে তালিকাভুক্ত জেলেদের ৬০ কেজি করে চাল দিয়েছেন। অবশিষ্ট চাল দিয়েছেন তালিকাবহির্ভূত জেলেদের।’
এ বিষয়ে কালাইয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. ফিরোজ বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত নেতাদের দাবি, তালিকায় আওয়ামী লীগের জেলেদের নাম বেশি ছিল। এজন্য তারা চাল বণ্টনে নিজস্ব তালিকা অনুসরণ করেছে। তবে সকল জেলে চাল পেয়েছে।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন জানান, বিএনপির তিনটি গ্রুপ (শহিদুল, ফারুক ও মুনির) ৩০ কেজির ৪৮০ বস্তা এবং জামায়াত ৩০ কেজির ৬০ বস্তা চাল ভাগ করে নিয়েছে।
বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির ফারুক আহমেদ গ্রুপের নেতা শাহজাহান মাতব্বর বলেন, ‘আমরা যে চাল নিয়েছি, তা জেলেদের মধ্যেই বিতরণ করেছি।’
অপরদিকে, বিএনপি নেতা গিয়াস উদ্দিন দাবি করেন, ‘বিতরণের সময় আমি উপস্থিত ছিলাম না।’
মুনির গ্রুপের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘প্রশাসনের উপস্থিতিতে সুষ্ঠুভাবে চাল বিতরণ হয়েছে, ভাগ করে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
জামায়াত নেতা মো. হাসনাইন চাল বিতরণের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গরিব জেলেদের আমরা তালিকা করে চাল দিয়েছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহাবুব আলম তালুকদার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। খোঁজ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।’
এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু/এআরএস