বাংলাদেশের খবরে সংবাদ প্রকাশের পর আশার আলো দেখলেন কাশেম

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৪ জুন ২০২৫, ১১:০৩
-685a31a48b400.jpg)
ছবি : প্রতিনিধি
“জীবনের এই শেষ প্রান্তে গিয়া কেউ আসবো, মন দিয়া কথা শুনবো—এতদিনে বুঝলাম আমাদের পাশে কেউ আছে। আল্লাহ যেন ইউএনও স্যারের ভালো করে।” চোখের কোণে পানি নিয়ে আবেগঘন কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন ৯৩ বছরের আলো-বঞ্চিত বৃদ্ধ কাশেম আলী।
সম্প্রতি ‘দৈনিক বাংলাদেশের খবর’ পত্রিকায় “আলোহীন জীবনের গল্প: ৯৩ বছরের বৃদ্ধ কাশেম আলী আজও আশায় তাকিয়ে বিদ্যুতের দিকে” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
সোমবার (২৩ জুন) দুপুরে এর পরিপ্রেক্ষিতে সরেজমিনে কাশেম আলীর বাড়িতে যান ঝিনাইগাতী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুল আলম রাসেল। পরে তিনি কাশেমের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন এবং তার দীর্ঘদিনের ভোগান্তির কথা শোনেন।
ইউএনও আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “পত্রিকায় সংবাদটি পড়ে আমি খুবই মর্মাহত হই। সিদ্ধান্ত নেই নিজে গিয়ে সরেজমিনে সব দেখে আসব। একজন মানুষ যদি ৯৩ বছর বয়সেও বিদ্যুৎ, রাস্তা কিংবা নিরাপদ বাসস্থান থেকে বঞ্চিত থাকেন—তাহলে তিনি মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলও- যা মানা যায় না। বৃদ্ধ কাশেম আলীর বাড়ির জন্য দ্রুত রাস্তা নির্মাণ, বিদ্যুৎ সংযোগ এবং খাস জমি বন্দোবস্তের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ইউএনও'র এমন দায়িত্বশীল পদক্ষেপ এলাকাবাসীর মাঝে আশার আলো ছড়িয়েছে।
বৃদ্ধ কাশেম আলী কেঁদে কেঁদে বলেন, “অনেকেই আইছে, ছবি তুইলা গেছে। কেউ আর খোঁজ নেয় নাই। কিন্তু আজ স্যার আইছে, আমারে জিগাইছে—কি লাগে? আমি কইলাম, আমার বিদ্যুৎ নাই, একটা রাস্তা নাই, বাড়িতে খুব একটা জায়গাও নাই, ঘরটাও ভাইঙ্গা গেছে। উনি কইছে সব ব্যবস্থা হইবো। আল্লাহ যেন উনারে ভালো রাখে।”
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন (আন্ডু) বলেন, “ছোটবেলা থেইক্যা আমরা এই বাড়ির মানুষরে অন্ধকারে থাকতে দেখতেছি। ইউএনও স্যারের আগমনে আমরা খুশি। এইবার হয়তো সত্যিই পরিবর্তন আসবে।”
শান্ত শিফাত/এএ