নিয়োগবিধি সংস্কার, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা ও বেতন বৈষম্য নিরসনসহ ৬ দফা দাবিতে মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন জেলায় একযোগে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন স্বাস্থ্য সহকারীরা।

নওগাঁ সদর, ভোলা সদর, গাজীপুরের কালীগঞ্জ ও শ্রীপুর এবং ভোলার লালমোহনে বাংলাদেশ হেলথ অ্যাসিস্ট্যান্ট অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানারে এই কর্মসূচি পালিত হয়। বাংলাদেশের খবর’র জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো প্রতিবেদনে বিস্তারিত।

নওগাঁ : সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চত্বরে আয়োজিত অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন সংগঠনের জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনুখ কুমার, নার্গিস আক্তার, আসমানি বানু ও রুকশানা আরা। বক্তারা অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে তারা বেতন কাঠামো ও পেশাগত মর্যাদায় বৈষম্যের শিকার হয়ে আসছেন তারা।

ভোলা : সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনের জেলা শাখার সভাপতি মো. কামাল উদ্দিন ও সদর সভাপতি মো. আলাউদ্দিন। তারা বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীরা চার দশকের বেশি সময় ধরে প্রান্তিক জনগণের কাছে স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছেন।

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) : উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অবস্থান কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন খাইরুল ইসলাম। বক্তারা জানান, টিকাদান কর্মসূচি, রোগপ্রতিরোধ, গর্ভবতী মা ও শিশুসেবা—সবই স্বাস্থ্য সহকারীদের দায়িত্বে। কিন্তু আজও তাদের নিয়োগ ও বেতন কাঠামোতে স্বীকৃতি মেলেনি।

শ্রীপুর (গাজীপুর) : শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন কামরুজ্জামান, শাহিন আলম, কবির হোসেন প্রমুখ। তারা দাবি জানান, প্রস্তাবিত নিয়োগবিধি সংশোধন করে স্নাতক শিক্ষাগত যোগ্যতা যুক্ত করে ১৪তম গ্রেড ও ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেড প্রদান করতে হবে।

লালমোহন (ভোলা) : এখানে কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মো. জাহাঙ্গীর আলম। বক্তারা জানান, ২৬ হাজার স্বাস্থ্য সহকারী দেশের স্বাস্থ্য খাতের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। অথচ তাদের পেশাগত উন্নয়ন এখনো অগ্রাহ্য করা হচ্ছে।

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) : নান্দাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে দুই ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত স্বাস্থ্য সহকারীরা। অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নান্দাইল উপজেলা শাখার সভাপতি মো. আব্দুল আলী ভূইয়া, সাধারণ সম্পাদক মো. আবু ওবায়দুল হকসহ নেতৃবৃন্দ। কর্মসূচিতে উপজেলার সব স্বাস্থ্য সহকারী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেন।

কর্মসূচিতে বক্তারা আরও বলেন, স্বাস্থ্য সহকারীদের স্নাতক স্কেলে অন্তর্ভুক্তি, ১৪তম ও ইন-সার্ভিস ডিপ্লোমা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, টেকনিক্যাল পদমর্যাদা প্রদান, টাইম স্কেল সংযুক্ত করে বেতন পুনর্নির্ধারণ, পদোন্নতিতে ধারাবাহিক গ্রেড নিশ্চিত করা এবং দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

স্বাস্থ্য সহকারীরা জানান, দাবি মানা না হলে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে ইপিআইসহ সকল কার্যক্রম বন্ধের আলটিমেটাম থাকবে।

এআরএস