Logo

সারাদেশ

শখের বাগানে বাণিজ্যিক সাফল্য, পাহাড়ে রাম্বুটান চাষে তাক লাগালেন ডাক্তার

Icon

ছোটন বিশ্বাস, খাগড়াছড়ি

প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ০৯:৫৪

শখের বাগানে বাণিজ্যিক সাফল্য, পাহাড়ে রাম্বুটান চাষে তাক লাগালেন ডাক্তার

ছবি : বাংলাদেশের খবর

শখের বশে ব্যক্তিগত চাহিদা পূরণের জন্য রাম্বুটান চাষ শুরু করেছিলেন জনস্বাস্থ্য ও চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আকেই প্রু চৌধুরী।

সেই চাষেই মিলেছে সাফল্য। এখন খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলায় ১২ একর পাহাড়ি জমিতে রাম্বুটানের বাণিজ্যিক চাষ করছেন তিনি।

প্রথমে বসতবাড়ির পাশের দুই একর জমিতে ইন্দোনেশিয়ান লাল জাত ‘বিনজাই’, থাই লাল জাত ‘রংরিয়ান’, ফিলিপাইনের হলুদ জাত ‘কুইজন’, মালয়েশিয়ান জাত ‘আনাক সেলুলা’ এবং ভারত-মালয়েশিয়া হাইব্রিড ‘এন-১৮’সহ পাঁচ দেশের বিদেশি রাম্বুটান চারা রোপণ করেন তিনি। এক বছরের মধ্যেই গাছে ফল আসতে শুরু করে।

প্রতিটি গাছে ৩০ থেকে ৪০ কেজি ফল ধরছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এসব গাছে নিয়মিত পানি দেওয়া ছাড়া কোনো ধরনের কীটনাশক ব্যবহার করতে হয়নি। এতে খরচ কম এবং লাভ বেশি হওয়ায় তিনি আরও ১০ একর জমিতে রোপণ করেন আরও এক হাজার চারা।

ডা. আকেই প্রু জানান, ‘২০২১ সালে বিদেশ সফরে গিয়ে রাম্বুটান খেয়ে ভালো লেগেছিল। দেশে ফিরে প্রথমে শখের বসে কিছু চারা নিয়ে আসি। পরে বিভিন্ন দেশের কয়েক জাতের রাম্বুটান সংগ্রহ করে চাষ শুরু করি। গাছ দেখে মনে হয়েছে পাহাড়ের মাটি এই ফলের জন্য দারুণ উপযোগী।’

রাম্বুটান ফল এখন সুস্বাদু ফল হিসেবে স্থানীয় বাজারে বেশ চাহিদাসম্পন্ন। রাজধানীর সুপারশপগুলোতে প্রতি কেজি রাম্বুটান বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ৫০০ টাকায়।

বাগান ঘুরে দেখতে আসা স্থানীয় কৃষক রফিকুল ইসলাম সাগর ও পরেশ ত্রিপুরা বলেন, ‘ছোট ছোট গাছে এত ফল দেখে আমরা অবাক। এই ফলের দামও ভালো, তাই আমরাও বাগান করার কথা ভাবছি।’

বাগানের কর্মচারী সুনীল চাকমা বলেন, ‘রোপণের শুরু থেকে আমি এই বাগানে কাজ করছি। কীটনাশক ব্যবহার ছাড়াই ফল এসেছে। গাছগুলো বড় হতে সময় লাগেনি।’

খাগড়াছড়ি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. বাছিরুল আলম বলেন, ‘রাম্বুটান একটি পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ বিদেশি ফল। এতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন সি, ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এবং হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এই ফল।’

তিনি আরও জানান, ‘পাহাড়ের ঢালু জমি ও অনুকূল আবহাওয়ার কারণে রাম্বুটান দ্রুত ফল দেয়। ডা. আকেই প্রু চৌধুরীর বাগান দেখে অনেক কৃষক এখন রাম্বুটান চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। এই ফল চাষ বেকারত্ব দূরীকরণেও অবদান রাখতে পারে।’

এআরএস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর