-685b76c1432dc.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বরিশালের আগৈলঝাড়ায় কেঁচো সার (ভার্মি কম্পোস্ট) উৎপাদন করে স্বাবলম্বী হয়েছেন ডলি বিশ্বাস। বাড়িতে বসেই গোবর ও কেঁচো ব্যবহার করে তিনি উৎপাদন করছেন জৈব সার। যা পরিবেশবান্ধব এবং জমির উর্বরতা বৃদ্ধিতে কার্যকর বলে স্থানীয় কৃষকদের কাছে দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।
বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের রামানন্দের আঁক গ্রামের বাসিন্দা ডলি বিশ্বাস একসময় ছিলেন দিনমজুর পরিমল বিশ্বাসের গৃহিণী।
সংসারে অভাব-অনটন ছিল নিত্যদিনের সঙ্গী। তবে দুই বছর আগে কারিতাসের ধরিত্রী প্রকল্পের সহায়তায় তিনি একটি ভার্মি প্রদর্শনী শেড স্থাপন করে কেঁচো সার উৎপাদনে নামেন।
প্রথমে তিনটি রিং দিয়ে শুরু করলেও বর্তমানে তিনি ১৩টি রিংয়ে সার উৎপাদন করে খুচরা ও পাইকারি বাজারে বিক্রি করছেন।
ডলি বিশ্বাস বলেন, ‘ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনের জন্য ১৫ দিন পুরোনো গোবর প্রয়োজন হয়। কেঁচো সেই গোবর খেয়ে যে মল ত্যাগ করে, সেটিই হচ্ছে সার। এ সার বিক্রি করে এখন আমি স্বাবলম্বী।’
স্থানীয় কৃষক আবু মিয়া বলেন, ‘জৈব সারের দাম রাসায়নিক সারের তুলনায় কম। জমিতে ব্যবহার করলে ভালো ফলন হচ্ছে এবং মাটির ক্ষতি হচ্ছে না।’
আরেক কৃষক হারুন-অর-রশিদ বলেন, ‘আমার সবজি চাষে আগে কেবল রাসায়নিক সার ব্যবহার করতাম। এখন ডলি বিশ্বাসের তৈরি কেঁচো সার ব্যবহার করছি। ফলন বেড়েছে, খরচ কমেছে।’
কারিতাসের ধরিত্রী প্রকল্পের আগৈলঝাড়া ইনচার্জ এডওয়ার্ড অন্তু রায় বলেন, ‘ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদনের মাধ্যমে অনেক অসহায় নারী এখন অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী। একইসঙ্গে কৃষকরাও পরিবেশবান্ধব সারের সুফল পাচ্ছেন।’
বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. রেজাউল হাসান বলেন, ‘ভার্মি কম্পোস্ট সারের বহুমুখী উপকারিতা রয়েছে। এটি ফলনের পাশাপাশি ফসলের গুণগত মানও বাড়ায়। সব ঋতুতে এবং সব ফসলে এটি ব্যবহার করা যায়।’
এআরএস