শ্রম উপদেষ্টা
বন্ধ কারখানার মালিকরা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়ে বিদেশে পালিয়েছে

সাভার প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ১৮:২৬

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখায়োত হোসেন। ছবি : বাংলাদেশের খবর
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখায়োত হোসেন বলেছেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানার মালিকের যদি ব্যাংক হিসাব নেওয়া হয়, তাহলেও দেখা যাবে দুইশ থেকে তিনশ কোটি টাকার কমে না। কারণ তারা ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে, কিন্তু এখন টাকা জমা দেয় না। এজন্য তারা কারখানা চালাতে পারছে না। টাকা-পয়সা নিয়ে বেশির ভাগ মালিক বিদেশে চলে গেছে।
বুধবার (২৫ জুন) দুপুরে সাভারে বাংলাদেশ লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি)-তে সামরিক বাহিনীর এক সেমিনারে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় বন্ধ হয়ে যাওয়া কারখানা নিয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, যে সমস্ত কারখানা বন্ধ হয়েছে, সেগুলো বন্ধ হওয়ার মতোই ছিল। ব্যাংক থেকে টাকা নিয়েছে। কিন্তু কী করেছে, শ্রমিকদের বেতন দেয়নি। কোনো কাজও করেনি। এসব কারখানার মালিকের যদি ব্যাংক হিসাব নেওয়া হয়, তাহলেও দুইশ থেকে তিনশ কোটি টাকার কমে না। কারণ টাকা নিয়েছে, এখন ব্যাংকে টাকা জমা দেয় না। এজন্য তারা কারখানা চালাতে পারছে না।
তিনি আরও বলেন, টাকা-পয়সা নিয়ে বেশির ভাগ মালিক বিদেশে চলে গেছে। একটা কোম্পানি এ পর্যন্ত আমি পেলাম না, যারা তিনশ কোটি টাকার নিচে ঋণখেলাপি আছে। তার পরেও ব্যাংক টাকা দিয়েছে। পলিটিক্স কালেকশনে ব্যবসা করলে এরকম হবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।
এক্সপোর্ট বৃদ্ধি ও শ্রমিকদের চাকরি নিয়ে শ্রম উপদেষ্টা আরও বলেন, সব গার্মেন্টস তো বন্ধ হলে ১৭% এক্সপোর্ট হতো না এবং চিটাগাং পোর্ট কুলাতে পারছে না। যে কারখানাগুলো বন্ধ হয়েছে, সেগুলো সাব-কনট্রাকে কাজ করাতো শ্রমিকদের দিয়ে। তাই খুব ডিফিকাল্ট নেই। তবে অনেক বেকারত্ব বেড়েছে। অনেকে আবার নতুন করে অন্য কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছে শ্রমিকরা।
বেক্সিমকো যে বন্ধ হয়েছে, সেসব কারখানার শ্রমিকরা চিটাগাংসহ অন্য জায়গায় কাজে যোগ দিয়েছে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা সাখায়োত হোসেন।
এ সময় অনুষ্ঠানে সামরিক বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরিফুল ইসলাম সাব্বির/এমবি