পটুয়াখালীতে আদালতে হাতাহাতি, আইনজীবী-রাজনীতিবিদসহ আহত ৫

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জুন ২০২৫, ১৯:২৬

ঘটনার পর আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আইনজীবীদের একটি অংশ আওয়ামী লীগবিরোধী স্লোগান দেন। ছবি : বাংলাদেশের খবর
পটুয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার (২৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে আদালত প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। এতে আইনজীবী ও রাজনৈতিক নেতাসহ অন্তত পাঁচজন আহত হন।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক দপ্তর সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান, অ্যাডভোকেট হাসিবুর রহমান, কলাপাড়া উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতি আতিকুল ইসলাম দিপু, কলাপাড়া পৌর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল এবং পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজল তালুকদার।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, জামিন শুনানির সময় দুই পক্ষের মধ্যে প্রথমে তর্কাতর্কি শুরু হয়, যা পরে হাতাহাতিতে রূপ নেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনজীবীদের হস্তক্ষেপ করতে দেখা যায়।
ঘটনার সময় আদালত চত্বরে উপস্থিত ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমি পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছি, কিন্তু জামিন মঞ্জুর হওয়ার পরপরই আসামিপক্ষের আইনজীবীরা অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমানের ওপর আক্রমণ করেন।’
অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান অভিযোগ করে বলেন, ‘জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগপন্থী হয়ে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্ব করছেন। তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে জামিনে বাধা সৃষ্টি করেন এবং হুমকি-ধামকি দেন।’
অপরদিকে, এই অভিযোগ অস্বীকার করে পটুয়াখালী জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন শরীফ বলেন, ‘এই মামলার দুজন আসামিকে জামিন দেওয়া হয়নি। এ নিয়ে অ্যাডভোকেট আব্দুল্লাহ আল নোমান উচ্চস্বরে কথা বলা ও অশোভন আচরণ শুরু করেন। তখন অন্য আইনজীবীদের সঙ্গে তার বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বহিরাগতদের নিয়ে তিনি আইনজীবীদের উপর হামলার চেষ্টা করেন। তখন আমি আইনজীবীদের নিয়ে সেখান থেকে সরে যাই।’
ঘটনার বিষয়ে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি হুমায়ুন কবির বলেন, ‘আজকের ঘটনাকে কেন্দ্র করে জরুরি সভা আহ্বান করা হয়েছে। যে আইনজীবী এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এ ঘটনার পর আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। আইনজীবীদের একটি অংশ আওয়ামী লীগবিরোধী স্লোগান দেন। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
এইচ এম মোজাহিদুল ইসলাম নান্নু/এইচকে