কুলিয়ারচরে চিকিৎসক ও জনবল সংকটে স্বাস্থ্যসেবা ব্যাহত

কুলিয়ারচর (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৬ জুন ২০২৫, ১৬:১৯
-685d1e9ee396c.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
২০১৮ সালে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও প্রয়োজনীয় জনবল না থাকায় এখনও ৩১ শয্যার জনবল দিয়েই পরিচালিত হচ্ছে কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। এতে চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে চিকিৎসা সেবা।
এই হাসপাতালে মোট ১৪ জন কনসালটেন্ট চিকিৎসক থাকার কথা থাকলেও রয়েছেন মাত্র ২ জন। ১৯ জন মেডিকেল অফিসারের বিপরীতে আছেন মাত্র ৩ জন। ইমারজেন্সি মেডিকেল অফিসার কিংবা উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের (সেকমো) কোনো জনবল নেই।
নার্স পদে ৩০ জনের মধ্যে ২৯ জন থাকলেও কয়েকজন ডেপুটেশনে অন্যত্র রয়েছেন। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির বহু পদ শূন্য রয়েছে।
যেমন : পরিছন্ন কর্মী ১০ জনের বিপরীতে ১ জন, আয়া ৫ জনের বিপরীতে ২ জন এবং ওয়ার্ডবয় ৫ জনের বিপরীতে মাত্র ১ জন কর্মরত আছেন।
হাসপাতালের জরুরি ও বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে ৫০০ রোগী সেবা নিতে আসেন। কিন্তু চিকিৎসক ও জনবল সংকটে অনেকেই চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন কিংবা বেসরকারি ক্লিনিকমুখী হচ্ছেন। প্রেসার ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের ওষুধ না থাকায় বাড়ছে জনমনে অসন্তোষ।
উপজেলার ৬টি উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ২১টি কমিউনিটি ক্লিনিকেও ওষুধ সংকট প্রকট। উপসহকারী মেডিকেল অফিসার থাকার কথা ৬ জন, আছেন মাত্র ২ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আদনান আখতার জানান, ‘উপযুক্ত জনবল পেলে এই হাসপাতালে মানসম্মত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব। শূন্য পদে নিয়োগ চেয়ে একাধিকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে।’
জেলা সিভিল সার্জন ডা. অভিজিত শর্মাও জানান, জনবল সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তবে স্থানীয়দের আশঙ্কা—দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সংকট আরও প্রকট হবে।
এআরএস