নওগাঁর মহাদেবপুরে ঋণের কিস্তি দিতে না পারায় পল্লীমঙ্গল কর্মসূচি (পিএমকে) নামক একটি এনজিওর মাঠকর্মীর বিরুদ্ধে এক নারী সদস্যকে মারধর ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী সাহারা বেগম (৩৫) থানায় লিখিত অভিযোগ করলেও তা মামলা হিসেবে রেকর্ড হয়নি। উল্টো বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ তুলে নিতে চাপ ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।

ভুক্তভোগী সাহারা বেগম জানান, তিনি পিএমকে থেকে ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন, যার ৩০টি কিস্তি ইতিমধ্যে পরিশোধ করেছেন। স্বামী বিদেশ চলে যাওয়ার পর বাকি তিন কিস্তি দিতে না পারায় গত ৩১ মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে এনজিওর মাঠকর্মী মজনু ইসলাম তার ঘরে প্রবেশ করে কিস্তির টাকা দাবি করেন। সাহারা টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে মজনু তাকে গালিগালাজ, মারধর এবং জুতা দিয়ে পেটান বলে অভিযোগ করেন সাহারা। এ সময় এনজিওর ম্যানেজার উজ্জল রায় ঘরের বাইরে উপস্থিত ছিলেন।

সাহারা বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ তা মামলা হিসেবে রেকর্ড না করে ২৩ জুন থানায় এক বৈঠকের আয়োজন করে। অভিযোগের সত্যতা মিললেও এসআই আছির উদ্দিন বিষয়টি মীমাংসার পরামর্শ দেন। সাহারা এতে রাজি না হওয়ায় বৈঠক ভেস্তে যায়। এরপরও মামলা রেকর্ড হয়নি।

এ ঘটনার পর এনজিও অফিসে রান্নার কাজ করা পাখী বেগম নামে এক নারী কর্মীকে বরখাস্ত করা হয়। অভিযোগ—তিনি সাহারার পক্ষে সুপারিশ করেছিলেন। এখন সাহারা ও পাখী বেগম উভয়েই বিচার চেয়ে দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন।

এ বিষয়ে এনজিও ম্যানেজার উজ্জল রায় বলেন, ‘মাসের শেষ দিনে কিস্তি চাওয়াটাই স্বাভাবিক। শ্লীলতাহানির অভিযোগ সত্য নয়। বরং সাহারা বেগমই মাঠকর্মীকে মারতে উদ্যত হয়েছিলেন।’

এম এ রাজ্জাক/এআরএস