‘জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ-২০২৫’ (প্রস্তাবিত) বাতিলসহ চার দফা দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি)।

শনিবার (২৮ জুন) সকালে খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের নেতারা বলেন, প্রস্তাবিত এই অধ্যাদেশ ‘ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইন ২০১০’-এর বিরুদ্ধে গিয়ে একটি বৈষম্যমূলক সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠা করতে চায়, যা সংবিধানপরিপন্থী।

সংগঠনের সভাপতি মুজাহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন পিসিসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মজিদ। আরও বক্তব্য দেন সহ সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, খাগড়াছড়ি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি তারিকুল ইসলাম রায়হান এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান।

তাদের চার দফা দাবি হলো—
১. ‘জাতি বৈচিত্র্য ইনস্টিটিউট অধ্যাদেশ-২০২৫’ প্রণয়নের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল।
২. সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠানের ছয় সদস্যের সবকজনকে শুধু ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী থেকে মনোনয়নের সিদ্ধান্ত বাতিল।
৩. উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও সুপ্রদীপ চাকমার ভূমিকা তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ।
৪. পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দে বৈষম্যের নিরপেক্ষ তদন্ত করে পুনর্বিন্যাস নিশ্চিত।

পিসিসিপি নেতারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, দাবি আদায় না হলে তারা রাজপথে নামতে বাধ্য হবেন।

ছোটন বিশ্বাস/এআরএস