সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সীমান্তঘেঁষা চেলা নদী এখন এক আতঙ্কের নাম। ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও লাগাতার বৃষ্টিতে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে বসতঘর, ফসলি জমি ও গ্রামের একমাত্র সড়ক।

নরসিংপুর ইউনিয়নের মন্তাজনগর, নাছিমপুর ও রহিমের পাড়া সবচেয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতিতে রয়েছে। স্থানীয়রা জানান, চোখের সামনে ভিটেমাটি বিলীন হচ্ছে, অথচ প্রতিকার নেই। পূর্ব চাইরগাঁও ও সারপিনপাড়ায় প্রায় ৫০ বিঘা ফসলি জমি নদীতে হারিয়ে গেছে। শতাধিক পরিবার এখন খোলা আকাশের নিচে বা অস্থায়ী ঝুপড়িতে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

পাথরশ্রমিক শাহজাহান মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, নদী আমাদের সবকিছু গিলে ফেলেছে। আমাদের পাশে কেউ নেই। চাইরগাঁও থেকে সারপিননগর পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার পাকা সড়ক ইতিমধ্যে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখন অবশিষ্ট অংশটিও যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে যেতে পারে।

এ কারণে অন্তত ২০টি গ্রামের সঙ্গে উপজেলা সদর ও জেলা শহর সুনামগঞ্জের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

নরসিংপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদ বলেন, চেলা নদী ভাঙনের কারণে বহু পরিবার নিঃস্ব হয়ে গেছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শমসের আলী মন্টু বলেন, সিলেট সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইতিমধ্যে ভাঙনকবলিত স্থান পরিদর্শন করেছেন। দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।

মো. আব্দুল হালিম/এমবি