সরকার বৃহত্তর নোয়াখালী অঞ্চলের বেড়িবাঁধ স্থায়ীভাবে নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বলে জানিয়েছেন ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

সোমবার (৩০ জুন) ফেনীর পরশুরাম উপজেলার মির্জানগর ইউনিয়নের নিজ কালিকাপুর এলাকায় বল্লামুখা বাঁধের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

সচিব বলেন, ‘বল্লামুখা বাঁধ বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি এলাকা। এখানে বারবার বন্যা হয়, বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বাঁধ নির্মাণে পুরনো ধাঁচে কাজ করা হয়েছে, কিছু আন্তঃরাষ্ট্রীয় সমস্যাও ছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘কাজে যেন কোনো অনিয়ম না হয় সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। জনগণ সচেতন থাকলে নিম্নমানের কাজ করার সুযোগ নেই। ঠিকভাবে কাজ না হলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।’

ভারতের সঙ্গে বিরোধপূর্ণ মুহুরীর চর বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারত রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে উদ্যোগ নিলে চরের সমস্যার সমাধান সম্ভব।’

পরিদর্শনকালে সচিবের সঙ্গে ছিলেন তার একান্ত সচিব সোহেল রানা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান, বিজিবির ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের ফেনী অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আকতার হোসেন মজুমদার, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহমুদ আল ফারুক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (উন্নয়ন ও মানবসম্পদ) রোমেন শর্মা, পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফুর রহমান, এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী এস এম শাহ আলম ভূঁইয়া এবং পরশুরাম মডেল থানার তদন্ত কর্মকর্তা মাকসুদ আহমেদসহ স্থানীয় প্রশাসন ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা।

বল্লামুখা বাঁধ পরিদর্শনের পর সচিব মোস্তাফিজুর রহমান পরশুরাম পৌরসভার বাউর পাথরে ইউএনডিপির পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নির্মিত ঘরগুলো পরিদর্শন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ইউএনডিপির ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ সোনালী দয়ারত্নে, সহকারী আবাসিক প্রতিনিধি সরদার এম আসাদুজ্জামান, বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি স্বর্ণা কাজী, জাইকার প্রতিনিধি মিনাকো মাসতুকাওয়া ও সিডার প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান।

এম. এমরান পাটোয়ারী/এআরএস