মদনে টিআর-কাবিখা প্রকল্পের অর্থ হরিলুটের অভিযোগ

নেত্রকোনা (মদন) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩০ জুন ২০২৫, ১৯:৩৩
-6862922599c40.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
নেত্রকোনার মদনে টিআর ও কাবিখা/কাবিটা প্রকল্পের অর্থের অনিয়ম ও হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার নায়েকপুর ইউনিয়নে প্রকল্পের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের বিরুদ্ধে এ ধরনের অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সংশ্লিষ্ট দপ্তরের নিয়মিত মনিটরিংয়ের অভাব প্রকল্পে অনিয়মের সুযোগ তৈরি করেছে বলে জানান এলাকাবাসী ও সচেতন মহল।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর/কাবিখা/কাবিটা) কর্মসূচির আওতায় নায়েকপুর ইউনিয়নের বাশঁরী পাকা রাস্তা থেকে মোয়াটি মোড় পর্যন্ত মাটি ভরাটের জন্য ৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এ প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য লাকী আক্তার। অপরদিকে মোয়াটি মোড় থেকে বাস্তা দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাটের জন্য ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া যায়। এ প্রকল্পের সভাপতি ইউটি সদস্য এলাই মিয়া।
প্রকল্প এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, বাশঁরী পাকা রাস্তা থেকে মোয়াটি মোড় পর্যন্ত রাস্তার প্রায় অর্ধেক অংশের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। অন্যদিকে মোয়াটি মোড় থেকে বাস্তা দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত রাস্তার মাত্র এক চতুর্থাংশ কাজ শেষ হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রকল্প এলাকার সাইনবোর্ড থাকার কথা থাকলেও কোথাও দেখা যায়নি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, ‘আমরা মাটি দিতে পারিনি বলে কাজ হয়নি। যেভাবে কাজ হয়েছে, বৃদ্ধ মানুষ দূরের কথা, সুস্থ মানুষও ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারবে না। সড়কে একটি সেতু রয়েছে। সেতুর এপ্রোচেও মাটি ফেলা হয়নি। রাস্তাটি সঠিকভাবে পরিদর্শন করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’
বাশঁরী পাকা রাস্তা থেকে মোয়াটি মোড় পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাট প্রকল্পের সভাপতি লাকী আক্তার বলেন, ‘আমি নামে মাত্র সভাপতি। প্রকল্পের কাজ করছেন প্রকল্প সেক্রেটারি বিএনপি নেতা হেলাল মিয়া।’
মোয়াটি মোড় থেকে বাস্তা দাখিল মাদ্রাসা পর্যন্ত প্রকল্পের সভাপতি আওয়ামী লীগ নেতা এলাই মিয়া জানান, ‘আমার প্রকল্পের প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্ন করেছি।’
প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির বলেন, ‘পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার অলিদুজ্জামান জানান, ‘তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
নিজাম তালুকদার/এআরএস