---2025-07-01T190640-6863e13b52409.jpg)
নির্যাতিত শিশু। ছবি : বাংলাদেশের খবর
বরগুনার সরকারি শিশু পরিবারে আবাসিক এতিম শিশুদের ওপর সহকারী শিক্ষকের অমানবিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শিশুদের শারীরিক নির্যাতনের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে জনমনে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
অভিযুক্তরা হলেন- সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ও নাদিম মিয়া।
রোববার (২৯ জুন) রাত থেকে ছবিগুলো ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ার পর সোমবার (১ জুলাই) বেলা ১১টায় বরগুনা প্রেসক্লাব থেকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন সরকারি শিশু পরিবারের বর্তমান ও প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে জানা যায়, সরকারি শিশু পরিবারে প্রায় ৫০-৬০ জন পিতা-মাতাহীন শিশু আবাসিকভাবে থেকে পড়াশোনা করে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, গত দুই মাস আগে ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সুমন ও ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আরাফাতকে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে নির্মমভাবে মারধর করেন সহকারী শিক্ষক নাদিম মিয়া। পরবর্তীতে বিষয়টি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখানো হয়। একইভাবে সহকারী শিক্ষক সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধেও শিশুদের নির্যাতন ও ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করার অভিযোগ রয়েছে।
এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা এতিম, সেই সুযোগ নিয়ে সাইফুল স্যার ও নাদিম স্যার আমাদের দিয়ে হাত-পা টিপানোসহ নানা কাজ করান। প্রতিবাদ করলে মারধর করেন। সরকার থেকে বরাদ্দকৃত টাকা থেকে আমাদের কিছুই দেন না। আমরা তাদের অপসারণ চাই।’
অভিযোগ অস্বীকার করে নাদিম মিয়া বলেন, ‘২-৩ মাস আগে লেখা নিয়ে ঝগড়া হয়। তখন কেউ আহত হয়, তাদেরই কেউ ছবি তুলে রাখে। এখন ছবি ছেড়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে।’
অপর শিক্ষক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি চতুর্থ তলার দায়িত্বে, যেখানে অভিযোগ হয়েছে তা অন্য তলায়। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা।’
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
এ বিষয়ে জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক সহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমি ছুটে এসেছি। যারা এতিম শিশুদের নির্যাতন করেছে, তারা মানুষ নয়। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
- খান নাঈম/এমআই