‘গাঁজাখোর’ বলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

বাউফল (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২৫, ১২:২৭

‘গাঁজাখোর’ বলায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা। ছবি : সংগৃহীত
পটুয়াখালীর বাউফলে ‘গাঁজাখোর’ বলে কটূক্তি করায় ফাহিম বয়াতী (১৮) নামের এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় ফাহিমের বাবাও ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত হয়ে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) বিকেল ৫টার দিকে বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলার সীমান্তবর্তী ধলু ফকিরের বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফাহিম বাউফলের নওমালা আব্দুর রশিদ খান ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবা জাকির বয়াতী পেশায় মাছ বিক্রেতা।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে ফাহিম এইচএসসি পরীক্ষা শেষে বাজারে বাবার কাছে যাচ্ছিলেন। এ সময় স্থানীয় চিহ্নিত বখাটে শাকিল তার পথরোধ করে। কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে ফাহিম বখাটে শাকিলকে ‘গাঁজাখোর’ বলে কটাক্ষ করেন। এতে উত্তেজিত হয়ে শাকিল ছুরি দিয়ে ফাহিমকে উপর্যুপরি আঘাত করে। ফাহিমের চিৎকার শুনে তার বাবা জাকির বয়াতী এগিয়ে এলে তাকেও ছুরিকাঘাত করা হয়।
এ সময় ফাহিমের পায়ের রগ কেটে গেলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। গুরুতর আহত জাকির বয়াতীকে প্রথমে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে বরিশালে পাঠানো হয়। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তদের সহযোগী শানুকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।
এ বিষয়ে বাউফল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আকতারুজ্জামান সরকার জানান, পুরোনো শত্রুতার জের ধরেই মূলত এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সূত্রপাত গলাচিপা থানার এলাকায় হলেও সংঘর্ষটি ঘটে দশমিনা থানার ভেতরে। তবে উভয় পক্ষই বাউফল উপজেলার বাসিন্দা। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান চলছে। দশমিনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
আরিফুল ইসলাম সাগর/এমবি