
কিডনী রোগে আক্রান্ত কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর মনিরুল ইসলাম রানার (৪৫) চিকিৎসার জন্য ১৯ লাখ টাকার তহবিল সহায়তা তুলে দিয়েছেন উপজেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সদস্যসচিব কামরুল ইসলাম।
বুধবার (২ জুলাই) দুপুরে তিনি উদ্যোক্তা ও সহযোদ্ধাদের সঙ্গে রানার বাড়িতে গিয়ে তার হাতে ১৯ লাখ ১৯ হাজার ১৮২ টাকার সহায়তা তুলে দেন। পাশাপাশি আরও দুই লাখ টাকা সহায়তার আশ্বাস দেন কামরুল ইসলাম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বদরুল আলম নাঈম, মুমুরদিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাদিউল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তশরীফুল হাছিব, স্বাস্থ্য পরিদর্শক জহিরুল ইসলাম বাচ্চু, মুমুরদিয়া ইউনিয়ন ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মোকারম হোসেন লিটন, ৮ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজল ভূঁইয়া, ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্যসচিব তরিকুল ইসলাম ও ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নকিব হুদা প্রমুখ।
কটিয়াদীর মুমুরদিয়া ইউনিয়নের লাংটিয়া গ্রামের প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা আহম্মদ আলী ভূইয়া (অমৃত)-এর মেজো ছেলে মনিরুল ইসলাম রানা। তার দুটো কিডনিই অকেজো হয়ে পড়ায় তাকে বাঁচতে হলে প্রয়োজন কিডনী প্রতিস্থাপন।
রানাকে বাঁচাতে তার স্ত্রী একটি কিডনি দানে সম্মত হয়েছেন। কিন্তু ভারতে কিডনী প্রতিস্থাপনের খরচ জোগাড় করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন তিনি। এমন সংকটে পাশে দাঁড়ান ছাত্রনেতা কামরুল ইসলাম। নিজ উদ্যোগে গ্রামের তরুণদের সঙ্গে নিয়ে তিনি শুরু করেন তহবিল সংগ্রহের কাজ। তার আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রবাসীসহ নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ এগিয়ে আসেন।
রানার বড় ভাই মহিবুল হাসান পলাশ বলেন, এ দুর্দিনে আমার ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য আপনারা এগিয়ে এসেছেন। আপনাদের মাধ্যমে দেশ ও প্রবাসের অনেকেই সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছেন—সবার প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। রানার জন্য দোয়া করবেন, সে যেন আবার সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসতে পারে।
ছাত্রদল নেতা কামরুল ইসলাম বলেন, আমার ডাকে সাড়া দিয়ে আপনারা যারা রানা ভাইয়ের চিকিৎসার জন্য সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। বিশেষ করে প্রবাসীদের প্রতি ধন্যবাদ জানাই—তাদের ভূমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো। দলমত নির্বিশেষে মানবিক প্রয়োজনে সাড়া দিয়ে যে দৃষ্টান্ত আপনারা স্থাপন করেছেন, তা সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে। রানা ভাই সুস্থ হয়ে স্বাভাবিক জীবনযাপন করবেন—এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
উল্লেখ্য, ব্যক্তিগত জীবনে মনিরুল ইসলাম রানা একজন ব্যবসায়ী ছিলেন। তিনি নিজেও সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এখন অসুস্থ হয়ে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দিন গুনছেন।
এমবি