
কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণ ও মারধরের ঘটনার ভিডিও ভাইরালের মূলহোতা ছাত্রলীগের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ আলী সুমনসহ চার আসামির রিমান্ড শুনানি আজ (বৃহস্পতিবার, ৩ জুলাই)।
এর আগে, সোমবার (৩০ জুন) আসামিদের রিমান্ড চেয়ে কুমিল্লা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোমিনুল হকের আদালতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা (এসআই) রুহুল আমিন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মুরাদনগর উপজেলার বাহেরচর গ্রামে জাফর আলীর ছেলে রমজান আলী, তালেব হোসেনের ছেলে মো. অনিক ও মো. আরিফ।
এসআই রুহুল আমিন বলেন, গত রোববার (২৯ জুন) বিকেলে মুরাদনগর থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের চারজনের নামে মামলা করা হয়। গত সোমবার বিকেলে তাদের সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। বিচারক রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য করেছেন বৃহস্পতিবার।
এর আগে, গত ২৬ জুন (বৃহস্পতিবার) রাতে এক নারীকে ধর্ষণ ও মারধরের ঘটনা ঘটে। এ সময় গ্রেপ্তার সুমন, রমজান, আরিফ ও অনিকসহ স্থানীয় কয়েকজন ওই নারীর ভিডিও ধারণ করে এবং অভিযুক্ত ধর্ষক ফজর আলীকে মারধর করে।
শনিবার ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী নারী। পর্নোগ্রাফি আইনে দায়ের করা ওই মামলায় চার যুবককে গ্রেপ্তার করে মুরাদনগর থানা পুলিশ।
এদিকে, ধর্ষণের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ফজর আলীকেও গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি বর্তমানে পুলিশ পাহারায় কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
- ডিআর/এটিআর