‘ঘুষ লেনদেনের’ ভিডিও ভাইরাল, পরশুরামে এসআই প্রত্যাহার

ফেনী প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ১২:৪৫

ফেনীর পরশুরামে নারী নির্যাতন মামলার আসামির সঙ্গে এক পুলিশ সদস্যের ‘ঘুষ লেনদেনের’ একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনার পরপরই পরশুরাম মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবু সাঈদকে প্রত্যাহার করে ফেনী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঘুষ লেনদেনের একটি ৩৩ সেকেন্ডের ভিডিও ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের আব্দুস ছাত্তার নামের এক মামলার আসামি তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আবু সাঈদকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম জানান, ভিডিওটি নজরে আসার পরপরই এসআই আবু সাঈদকে ফেনী পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। ভিডিও পর্যালোচনা করে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা গেছে, গত ২২ জুন উপজেলার অনন্তপুর গ্রামের জামাল উদ্দিনের স্ত্রী পান্না আক্তারকে মারধর করে গুরুতর আহত করেন একই গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে আব্দুস ছাত্তার (৫৫)। ওই দিনই ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে ছাত্তারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পান এসআই আবু সাঈদ। ঘটনার দিন তিনি আব্দুস ছাত্তারের বাড়িতে যান। সিঁড়ির সামনে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে টাকা লেনদেনের ঘটনা ঘটে। যা বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরায় ধারণ হয়। এ ঘটনার ১০ দিন পর বুধবার (২ জুলাই) সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
এ বিষয়ে আব্দুস ছাত্তার বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসেছিলেন হামলার ঘটনা তদন্তের জন্য। তদন্তে এলে যেকোনো অফিসার টাকা নেয়—এ বিষয়টি আমি তাকে বলেছি। তিনি সেখানে অনেক কথাবার্তার এক ফাঁকে নিজের পকেট থেকে টাকা বের করেছেন। ভিডিওটি কীভাবে গণমাধ্যমে গেল, তিনি জানেন না।
অভিযুক্ত আবু সাঈদ জানান, ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি ২২ জুনের। আসামি ছাত্তার তাকে টাকা দেওয়ার চেষ্টা করলে তিনি নিজের পকেটে থাকা টাকা বের করে ছাত্তারকে দেখিয়ে বলেন, ‘টাকা আমার কাছে আছে। টাকা লাগবে না।’ তিনি তার কাছ থেকে কোনো টাকা নেননি বলে দাবি করেন।
পরশুরাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নুরুল হাকিম বলেন, অভিযুক্ত এসআই আবু সাঈদকে তাৎক্ষণিকভাবে ফেনী পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। ভিডিও পর্যালোচনা করে তদন্তসাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এম. এমরান পাটোয়ারী/এমবি