মুরাদনগরে ‘ধর্ষণকাণ্ড’ : চার আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

কুমিল্লা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৪:৩২

কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় এক নারীকে ‘ধর্ষণ’ ও ভিডিও ছড়ানোর ঘটনায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় গ্রেপ্তার চারজনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) কুমিল্লার আমলি আদালত-১১ এর বিচারক মমিনুল হক এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আসামিরা হলেন, উপজেলার বাহেরচর গ্রামের মোহাম্মদ আলী সুমন, রমজান আলী, মো. অনিক ও মো. আরিফ।
মুরাদনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মুরাদনগরের ঘটনায় করা পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ মামলায় গ্রেপ্তার চারজনের ৭ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়। বিচারক মমিনুল হক প্রত্যেক আসামির ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ডে আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যে বাকি অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
রিমান্ডপ্রাপ্ত সুমন নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের সভাপতি বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। গত সোমবার সুমনসহ বাকি ৩ আসামির সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে কুমিল্লা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মমিনুল হকের আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রুহুল আমিন।
পুলিশ জানায়, ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরের একটি গ্রামে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফজর আলী নামের এক ব্যক্তি আটক ও পিটুনির শিকার হন। পরে ফজর আলীকে সেখান থেকে নিয়ে যাওয়া হয়। ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন ভুক্তভোগী নারীর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেন।
এ ঘটনায় শুক্রবার (২৭ জুন) মূল অভিযুক্ত ফজর আলীকে আসামি করে মুরাদনগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেন ভুক্তভোগী নারী। এরপর অভিযানে নেমে রাজধানীসহ জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ফজর আলীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পরে রোববার (২৯ জুন) বিকেলে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন সভাপতি মোহাম্মদ আলী সুমন ও তার তিন সহযোগীসহ মোট চার জনের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মুরাদনগর থানায় পৃথক একটি মামলা করেন ওই নারী।
এদিন সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে গ্রেপ্তারদের কুমিল্লা চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মোমিনুল ইসলাম তাদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
- ডিআর/এটিআর