
ফেনী শহরের অন্তত অর্ধশতাধিক স্থানে প্রতিদিন প্রকাশ্যে চলছে লাখ লাখ টাকার মাদক বাণিজ্য। গাঁজা, ইয়াবা, দেশি মদসহ বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে।
এসব এলাকায় বিকেল থেকে শুরু হয়ে রাত ১১টা পর্যন্ত চলে মাদক কেনাবেচা। অভিযোগ রয়েছে, প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় মাদক ব্যবসায়ীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
স্থানীয়রা জানান, শহরের রাজাঝি দিঘী, রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন কলোনি, ব্রাহ্মণপুকুর পাড়, সহদেবপুর, তালতলা, আপ্যায়ন টাওয়ারের পাশের গলি, সম্রাট ফ্লাওয়ার মিলের পাশে, পশ্চিম উকিলপাড়া, রামপুর বালিকা বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকা, সদর হাসপাতাল ও লালপোল বাসস্ট্যান্ড এলাকা, মহিপাল ফ্লাইওভার ও ফিসারি এলাকা, পুরাতন জেলখানা, হাজারী রোড, আবাসিক হোটেল গলি, আরামবাগ সুইমিংপুলসহ অন্তত ৫০টি স্পটে দেদারছে চলছে মাদক ব্যবসা।
স্থানীয় বাসিন্দা আহাম্মদ করিম বলেন, সরকার পরিবর্তনের পর প্রশাসনের নজরদারি কমে গেছে। ফলে এসব স্পটে সবজি বাজারের মতো করে মাদক বিক্রি হচ্ছে। উঠতি বয়সী তরুণ ও শিক্ষার্থীরা এতে বিপথে যাচ্ছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, চেওহরিয়া এলাকার এলবেন, মিয়াবাড়ির রুবেল, রফিকুল ইসলাম, ঠাকুরবাড়ির শিবু, একই এলাকার সোয়াইব ও বাবলু চন্দ্র দাশ, লালপোলের সোহেলসহ একটি চক্র তুলাবাড়িয়া সেলফি রোড এলাকায় প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করছে। এ বিষয়ে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে মৌখিকভাবে অভিযোগ জানানো হলেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।
সম্প্রতি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কিছু অভিযানে কয়েকজনকে আটক করলেও কয়েকদিন পর আবার সেই স্পটগুলোতে মাদক বিক্রি শুরু হয়। কিছুদিন আগে মাদকের টাকার ভাগাভাগি নিয়ে দুজনকে মারধর করে মারাত্মকভাবে আহত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক সোমেন মণ্ডল বাংলাদেশের খবরকে বলেন, জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ফেনী ডিএনসি নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান পরিচালনা করছে। সুনির্দিষ্ট কিছু স্পটেও অভিযান চালানো হয়েছে। পাশাপাশি নিয়মিত মামলা দায়ের, মাদকবিরোধী উদ্বুদ্ধকরণ সভা ও সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে পথসভা করা হচ্ছে।
এম. এমরান পাটোয়ারী/এমবি