জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে ষড়যন্ত্র সহ্য করা হবে না : নাহিদ ইসলাম

দিনাজপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ জুলাই ২০২৫, ২১:৪২

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। ছবি : বাংলাদেশের খবর
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। এটা কোনোভাবেই সহ্য করা হবে না। খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে জুলাই সনদ বাস্তবায়নের ঘোষণা দেওয়ার জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানান তিনি।
শুক্রবার (৪ জুলাই) সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় দিনাজপুর ইনস্টিটিউট মাঠে এক পথসভায় নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
এনসিপির আহ্বায়ক বলেন, গণঅভ্যুত্থানের পর আমাদের যে স্বপ্ন ছিল, সেই স্বপ্ন এখনো পূরণ হয়নি। যারা অভ্যুত্থান সফল করেছিল, তারা এখনো জাগ্রত ও রাজপথে আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দখলদারিত্ব চাই না। দখলদারিত্ব ও পুরনো সন্ত্রাসের রাজত্বকে আর ফিরে আসতে দেব না।
নাহিদ ইসলাম বলেন, দিনাজপুরের কৃষক যে খাদ্য উৎপাদন করেন, সেই খাদ্য দিনাজপুরের মানুষের জন্যই ব্যয় করতে হবে। দিনাজপুরে উৎপাদিত খাদ্যশস্য দিনাজপুরের মানুষের কাজে লাগাতে হবে।
সভায় অন্যান্য বক্তারা বলেন, যে সংবিধান মানুষের নিরাপত্তা দিতে পারে না, সেই সংবিধান আমরা চাই না। মৌলিক সংস্কারের পরই নির্বাচনে যেতে হবে। আর এজন্য একটি নতুন সংবিধানের প্রয়োজন।
বিচার সংস্কার ও দেশ পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ‘দেশ গড়তে জুলাই যাত্রা’র অংশ হিসেবে উত্তরাঞ্চলে সফরের চতুর্থ দিনে দিনাজপুরে আসেন এনসিপি নেতৃবৃন্দ।
পথসভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সার্জিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহ, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ও মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটেয়ারী প্রমুখ।
দিনাজপুরে পৌঁছে এনসিপি নেতৃবৃন্দ শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে জুমার নামাজের পর নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বে এনসিপির নেতৃবৃন্দ ঠাকুরগাঁও থেকে পীরগঞ্জ, বীরগঞ্জ ও দশমাইল হয়ে দিনাজপুর শহরে প্রবেশ করেন। বিকেল পৌনে ৫টায় তারা দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ীস্থ বন্ধন কমিউনিটি সেন্টারে এসে পৌঁছান।
পরে সেখান থেকে দিনাজপুর গোর-এ-শহীদ বড় ময়দান (বড়মাঠ) যান। বড়মাঠ থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে বাহাদুর বাজার ও লিলিমোড় হয়ে ইনস্টিটিউট মাঠে আসেন। পরে ইনস্টিটিউট মাঠে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। পথসভা শেষে এনসিপি নেতৃবৃন্দ বগুড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন।
রহমত আল আকাশ/এমবি