
জমি নিয়ে বিরোধে ভাগ্নের হাতে প্রাণ গেল মামার। ছবি : বাংলাদেশের খবর
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে আপন ভাগ্নের হাতে প্রাণ গেল মামা আকমল খানের (৬৫)।
শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের খুলুমবাড়িয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আকমল খান রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল গ্রামের মৃত ইয়াহিয়া খানের ছেলে। অভিযুক্ত ইউনূস মন্ডল শৈলকুপা উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়নের শাহবাড়িয়া গ্রামের ইমদাদুল মন্ডলের ছেলে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে আকমল খানের সঙ্গে তার বোনের ছেলেদের জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে কয়েক দফা সংঘর্ষ ও হুমকি-ধামকির ঘটনাও ঘটে। শুক্রবার বিকেলে আকমল খান খুলুমবাড়িয়া বাজারে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে গড়াই নদী পার হয়ে ঘাটে ওঠার সময় আগে থেকে ওত পেতে থাকা ভাগ্নে ইউনূস মন্ডল তাকে গলায় গামছা পেঁচিয়ে ধরে টেনে-হিঁচড়ে প্রায় ৫০০ গজ দূরে বাজারের ভেতরে নিয়ে যান। সেখানে ফাঁস লেগে ঘটনাস্থলেই আকমল খানের মৃত্যু হয়।
এ সময় এলাকাবাসী ছুটে এলে ঘাতক ইউনূস মন্ডল পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে শৈলকুপা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
নিহতের ছেলে আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০ বছর আগে আমার ফুফু মাজু খাতুন দাদার অংশে পাওয়া জমি আমাদের কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু গত দুই বছর ধরে ফুফাতো ভাই ইউনূসসহ পরিবারের লোকজন ওই জমি তাদের নামে লিখে দিতে হুমকি দিয়ে আসছিল। কয়েকদিন আগেও ইউনূস আমাদের গ্রামে গিয়ে আমার বাবাকে হত্যার হুমকি দেয়। আমি আমার বাবার হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে শৈলকুপা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাসুম খান বলেন, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় শৈলকুপা থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘাতক ইউনূস মন্ডলকে গ্রেপ্তার করতে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
এম বুরহান উদ্দীন/এমবি