মহারশি নদীতে নেই পানি পরিমাপক যন্ত্র, ঝুঁকিতে ঝিনাইগাতীর মানুষ

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০২৫, ২০:৪০
-686bdc70a5e69.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীতে প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে ভারত থেকে নেমে আসা ঢল ও টানা বৃষ্টিতে হঠাৎ পানি বেড়ে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অথচ এত গুরুত্বপূর্ণ একটি সীমান্ত নদীতে নেই কোনো পানি পরিমাপক স্কেল বা আগাম সতর্কবার্তার ব্যবস্থা।
স্থানীয়রা জানান, বহু বছর ধরে বাঁশ পুঁতে নদীর পানি বাড়ার মাত্রা আন্দাজ করে চলতে হয়। অথচ সরকারি পর্যায়ে কোনো স্বয়ংক্রিয় বা ম্যানুয়াল পানি পরিমাপের যন্ত্র এখনো স্থাপন হয়নি।
দিঘিরপাড় এলাকার বাসিন্দা ফজলু মিয়া বলেন, ‘হঠাৎ পানি বাড়লে কিছুই করার থাকে না। যদি আগেই জানতে পারতাম, ক্ষয়ক্ষতি কম হতো।’
ব্রিজপাড়ের আলমাছ জানান, ‘বাঁধ প্রতিবছর ভেঙে যায়। পানি বাড়ছে না কমছে, তা বোঝার উপায় নেই।’
ধানশাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘সামান্য বৃষ্টিতেই নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। যদি সতর্কবার্তা থাকত, মানুষ নিরাপদে সরতে পারত।’
সদর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জাহিদুল হক মনির বলেন, ‘আমরা শুধু অনুমানের ওপর নির্ভর করি। পানি পরিমাপের যন্ত্র থাকলে মানুষের ক্ষতি অনেক কমানো যেত।’
প্রবীণ নাগরিক ডা. আব্দুল বারী বলেন, ‘একশ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, এই নদী কতটা ভয়ংকর হতে পারে। এখন মানুষ প্রযুক্তিনির্ভর। তাই দ্রুত পানি পরিমাপের স্কেল বসানো দরকার।’
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আখিনুজ্জামান বলেন, ‘মহারশি নদীতে পানি পরিমাপক যন্ত্র স্থাপন অত্যন্ত জরুরি। এ বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছি। অনুমোদন পেলে দ্রুত স্কেল বসানো হবে।’
উল্লেখ্য, জেলার পাঁচটি নদীর মধ্যে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, ভোগাই ও চেল্লাখালী নদীতে স্কেল থাকলেও মহারশি ও সোমেশ্বরী নদীতে তা নেই। ফলে প্রতিবছর ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী উপজেলার মানুষ ক্ষতির মুখে পড়ে।
এআরএস