
ছাতকে ফুটপাত আর সড়কের বড় অংশ এখন হকারদের দখলে | ছবি : বাংলাদেশের খবর
ছাতকে ফুটপাত আর সড়কের বড় অংশ এখন হকারদের দখলে। এসব জায়গায় অবৈধ দোকানপাটের কারণে শহরটির ব্যস্ততম ট্রাফিক পয়েন্ট, হাইস্কুল রোড, বালিকা বিদ্যালয় রোড ও পশ্চিম বাজার সড়কে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যানজট লেগেই থাকে। ফলে পথচারীরা বাধ্য হয়ে চলাচল করছেন মূল সড়ক দিয়ে। এতে প্রতিদিনই বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটছে। চরম হচ্ছে জনদুর্ভোগও।
সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের দক্ষিণ পাশে ৪০ ফুট প্রস্থের সড়কের অন্তত ৩০ ফুটজুড়ে কাঁচাবাজার গড়ে তুলেছেন হকাররা। বাঁশ ও চাটাই দিয়ে স্থায়ী ঘর বানিয়ে চলছে কাঁঠালসহ বিভিন্ন ফলমূলের ব্যবসা। ফলে সড়ক সংকুচিত হয়ে যানবাহন চলাচলে তৈরি হয়েছে স্থায়ী বাধা।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের নির্লিপ্ততায় ফুটপাত দখল উৎসবে পরিণত হয়েছে। দখলদার হকারদের কেউ ঠেকানোর নেই। এদিকে হকারদের কারণে বাজারের স্থায়ী ব্যবসায়ীরা পড়েছেন বিপাকে।
বাজারের স্থায়ী দোকানদাররা অভিযোগ করে বলেন, আমরা ৫ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা ভাড়া গুনে ব্যবসা চালাচ্ছি। কিন্তু ঠিকভাবে বাণিজ্য করতে না পারায় অনেকেই দেউলিয়া হয়ে পড়েছে, কেউ কেউ ব্যবসা গুটিয়ে এখন বেকার জীবন যাপন করছে। বিপরীতে ফুটপাত দখল করে বসা হকাররা কাঁচামালসহ নানা পণ্যের ব্যবসা করে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা আয় করছে। তাদের এই দখলদারিত্ব ঘিরে শহরে তৈরি হয়েছে এক অরাজক অবস্থা।
বিশেষ করে শহরের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনের ফুটপাত দখল করে বসা ফলের দোকানগুলোর কারণে মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশে প্রতিনিয়ত প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে।
এ বিষয়ে ছাতক বাজার ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল আলম মধু বলেন, ‘ফুটপাত দখলে বসা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কারণে মূল ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। আমরা বাজারের শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে প্রশাসনের সহায়তায় উদ্যোগ নিতে চাই।’
সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, ‘সড়কের জায়গা দখলকারীদের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনার অপেক্ষায় আছি।’
ছাতক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও পৌর প্রশাসক মোহাম্মদ তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘হকারদের দখলদারিত্ব থেকে রাস্তা উদ্ধার করতে উচ্ছেদ অভিযান চলছে। যে কোনো সময় ট্রাফিক পয়েন্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হবে।’
- আব্দুল হালিম/এটিআর