জিয়াউল হত্যা মামলা : কবরের পাশে ৩ মেয়ের আহাজারি, বিচার চান স্বজনরা

মাল্টিমিডিয়া করেসপন্ডেন্ট, জামালপুর
প্রকাশ: ০৮ জুলাই ২০২৫, ১৯:০২
-686d16d692481.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলায় জমিজমা নিয়ে বিরোধের জেরে জিয়াউল হক (৪৮) নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। ঘটনার পর তার পরিবার দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটে গত শুক্রবার (৪ জুলাই) মেলান্দহ উপজেলার দুরমুঠ ইউনিয়নের উত্তর জাঙ্গালিয়ায়। পারিবারিক ৪ শতাংশ জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জিয়াউল হক ও তার চাচাতো বোনের ছেলে মো. সাজু মিয়ার মধ্যে বিরোধ চলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের পরিবার জানায়, ওই দিন জুমার নামাজের আগে সাজু মিয়া লোকজন নিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে বাঁশ কাটতে গেলে জিয়াউলের পরিবারের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। জিয়াউল হক মসজিদ থেকে ফিরে ঘটনাস্থলে গেলে তাকে এবং তার পরিবারের সদস্যদের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়। এতে জিয়াউলসহ পরিবারের অন্তত আটজন আহত হন।
আহত অবস্থায় জিয়াউলকে প্রথমে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ঢাকায় নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, জিয়াউলের ছোট মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস, মেজো মেয়ে জেনিফা আক্তার ও বড় মেয়ে জেসমিন প্রতিদিন বাবার কবরের পাশে গিয়ে আহাজারি করেন। তিনজনই বাবার হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
জিয়াউলের প্রতিবেশীরাও বলেন, ‘ঘটনার পর গ্রেপ্তার হওয়া পাঁচ আসামির বাইরে বাকিরা এখনও আত্মগোপনে রয়েছেন এবং পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন।’
মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধে জিয়াউল হক নিহত হয়েছেন। অভিযুক্ত ১৯ জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তার করে মামলার তদন্ত শেষ করা হবে।’
নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসীর প্রত্যাশা, জিয়াউল হকের হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকলকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
মেহেদী হাসান/এআরএস