Logo

সারাদেশ

বান্দরবানে টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের শঙ্কা

Icon

বান্দরবান প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৫:১৭

বান্দরবানে টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের শঙ্কা

বান্দরবানে টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের শঙ্কা। ছবি : বাংলাদেশের খবর

বান্দরবানে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও অব্যাহত ভারী বর্ষণে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের আশঙ্কা। এতে করে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী শত শত মানুষ পড়েছেন চরম উদ্বেগে।

জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে এসব ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২২০টি অস্থায়ী আশ্রয় কেন্দ্র। যেকোনো দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবেলায় ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসনে খোলা হয়েছে একটি মনিটরিং সেল।

বুধবার (৯ জুলাই) সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির মধ্যে দিয়ে দিন শুরু হলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বৃষ্টির মাত্রা বেড়ে যায়। টানা বৃষ্টির কারণে সাঙ্গু ও মাতা মুহুরী নদীর পানি বাড়ছে। পাশাপাশি বিভিন্ন সড়কে পাহাড়ি মাটি ধসে পড়ায় যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।

স্থানীয়রা জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হলেও অনেকে নিজেদের ভিটেমাটি ছাড়তে চাইছেন না।

শহরের বনরূপা, ছিদ্দিকনগর, কালাঘাটা ও বালাঘাটা এলাকার বাসিন্দারা বলেন, প্রশাসন আমাদের সরিয়ে নেয় ঠিকই, কিন্তু কয়েকদিন পর আবার ফিরতে হয়। যদি স্থায়ী পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে আমরা সেখানেই যেতে রাজি আছি।

পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারী বাসিন্দাদের পুনর্বাসনের বিষয়ে জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বলেন, বান্দরবানে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী বাসিন্দাদের তালিকা করা হচ্ছে। দ্রুত তালিকা প্রস্তুত করে মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। 

তিনি আরও বলেন, জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র; যেকোনো সময় বাসিন্দারা সেখানে গিয়ে আশ্রয় নিতে পারবেন। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রিত বাসিন্দাদের জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী প্রস্তুত রয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় বান্দরবানে ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী কয়েকদিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

সোহেল কান্তি নাথ/এমবি

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

পাহাড় ধস

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর