পটুয়াখালীতে মসজিদ-মন্দির উন্নয়নের অর্থ লোপাটের অভিযোগ

কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ জুলাই ২০২৫, ২১:০৬
---2025-07-09T210258-686e858d0fd6a.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) কর্তৃক বরাদ্দকৃত মসজিদ ও মন্দির উন্নয়ন তহবিলের অর্থ লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের তীর উঠেছে ঠিকাদার ও সংশ্লিষ্ট কিছু কর্মকর্তার দিকে।
জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এলজিইডির আওতায় কলাপাড়া উপজেলার লতাচাপলী ইউনিয়নের পূর্ব আলিপুর গ্রামে ‘বায়তুল বিলকিস জামে মসজিদে’ উন্নয়ন কাজের জন্য তিন লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কার্যাদেশ অনুযায়ী, এই কাজের ঠিকাদার ছিলেন কলাপাড়ার কবির মৃধা।
মসজিদ কমিটি কাজটি ভালোভাবে করার লক্ষে এলজিইডি' কলাপাড়া অফিস ও ঠিকাদারের সাথে সমন্বয় করে নিজেরাই কাজটি করেছেন। অথচ ঠিকাদার এখন মসজিদ কর্তৃপক্ষকে এক লক্ষ টাকার বেশি দিতে চাচ্ছেন না এমন অভিযোগ মসজিদ কর্তৃপক্ষের।
মসজিদ কমিটির সভাপতি আলহাজ মতিউর রহমান বলেন, ‘ঠিকাদার ও অফিসের সাথে সমন্বয় করে আমরা নিজেরাই কাজটি করি। যদিও কিছু কাজ বাকি রয়েছে কিন্তু তিনি শুধু এক লাখ টাকা দেন।’
এ বিষয়ে এলাকার মুসল্লিরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বর্তমানে দেশে কোনো নির্বাচিত সরকার নেই। সরকার গঠনের আগেই এই বরাদ্দ এসেছে। তাহলে পুরো বরাদ্দের অর্থ সরাসরি মসজিদের কাজেই খরচ হওয়া উচিত ছিল। এই অবস্থায়ও যদি ঠিকাদার টাকা আত্মসাৎ করে থাকেন, তাহলে ভবিষ্যতে আরও বড় দুর্নীতি ঘটতে পারে।’
এমন অভিযোগ শুধু পূর্ব আলিপুর মসজিদেই নয়, কলাপাড়া উপজেলার একাধিক মসজিদ ও মন্দির উন্নয়ন প্রকল্পে অনিয়ম ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ঠিকাদার কবির মৃধা বলেন, ‘তিন লাখ টাকার একটি প্রকল্পে পাঁচ শতাংশ লেস ও ভ্যাট কেটে আমার হাতে এসেছে ২ লাখ ২৫ হাজার ৫০০ টাকার চেক। এরমধ্যে উপজেলা প্রকৌশলী অফিস ও নির্বাহী প্রকৌশলীর দফতরে নির্ধারিত খরচ রয়েছে। পাশাপাশি অফিসিয়াল আরও কিছু ব্যয় বহন করতে হয়। সব কিছু মিলিয়ে এ সকল খরচ মেটানোর পর আমার এক লাখ টাকার বেশি দেওয়ার সুযোগ নেই?’
এ বিষয়ে এলজিইডি পটুয়াখালী নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হোসেন আলী মীর বলেন, ‘আমার অফিসে বা উপজেলার কোথাও এক টাকাও ঘুষ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। যদি কেউ বলে থাকে, তবে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বরাদ্দকৃত অর্থের মধ্যে শুধু ভ্যাট খরচ বাদ দিয়ে ঠিকাদারের কিছু ব্যবসা রেখে বাকি পুরো অর্থ মসজিদ কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিতে হবে। এছাড়া অন্য খরচ দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের কোনো সুযোই নেই।’
জাকারিয়া জাহিদ/এমআই