ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ২৫ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ জুলাই ২০২৫, ১১:২২

ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। পাঁচ মিনিটের পথ পাড়ি দিতে লেগে যাচ্ছে ঘণ্টারও বেশি সময়। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) রাত পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজট থাকলেও শুক্রবার সকালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ কিলোমিটারে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানার ওসি মামুনুর রহমান জানান, বিশ্বরোড গোলচত্বর থেকে আশুগঞ্জ গোলচত্বর পর্যন্ত অন্তত সাড়ে ১০ কিলোমিটার সড়ক বেহাল। যান চলাচলের অনুপযোগী এ সড়কে বড় বড় গর্তের কারণে গাড়িগুলোকে ধীরগতিতে চলতে হচ্ছে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানবাহন আটকে থাকছে।
তিনি বলেন, সকাল থেকে শুধু ঢাকামুখী গাড়ি ছাড়ছি। সিলেটগামী লাইন কার্যত বন্ধ। খারাপ রাস্তা, চালকদের অসচেতনতা এবং বৃষ্টিতে গর্ত আরও বেড়েছে। এ অবস্থায় যানজট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছি।
সড়কে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ ও জেলা পুলিশ যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলেও জানান ওসি।
এদিকে, যানজটে আটকে পড়া অনেক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসে বসে থাকতে হচ্ছে। খাবার-পানির সংকট তো আছেই, সঙ্গে শিশু ও বৃদ্ধদের কষ্ট আরও বেশি। অনেকে সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে না পেরে ভোগান্তির কথা জানান।
বাহরাইন থেকে ফেরা প্রবাসী রশীদ বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় ঢাকা আব্দুল্লাহপুর থেকে সিলেটের উদ্দেশে রওনা হই। দুপুর ৩টায় পৌঁছানোর কথা থাকলেও পৌঁছেছি রাত ১১টায়। রাস্তার যা অবস্থা—কোথাও গর্ত, কোথাও বাস থেমে আছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। মাঝপথে খাবার-পানি কিছুই ছিল না। দেশে ফিরে এমন ভোগান্তিতে পড়ব, কখনো কল্পনাও করিনি।
জানা গেছে, আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত ৫০ দশমিক ৫৮ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছিল ২০১৭ সালে। কিন্তু দীর্ঘসূত্রিতা, তদারকির অভাব ও বরাদ্দ জটিলতায় কাজ এখনো শেষ হয়নি। এর ফলে বিশ্বরোড থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় ১০ কিলোমিটার সড়ক এখন চলাচলের অযোগ্য।
বর্ষার বৃষ্টিতে গর্ত আরও ভয়াবহ হয়ে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে প্রতিদিনই দীর্ঘ যানজট লেগেই থাকছে এই সড়কে। স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, দ্রুত সংস্কার না হলে এ সড়কে চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যেতে পারে।
- ডিআর/এটিআর