-(5)-6870e4ca5ac57.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী রজনী লাইন ব্রিজটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। বারেকটিলা-ট্যাকেরঘাট সড়কে অবস্থিত বহু পুরোনো এ ব্রিজটির টপ স্ল্যাব ভেঙে রড বেরিয়ে পড়েছে। গত দুই মাস ধরে এ ভাঙা ব্রিজ দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন স্থানীয় বাসিন্দা, পর্যটক ও ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের রজনী লাইন এলাকায় অবস্থিত ব্রিজটির ওপর অংশ সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় স্থানীয়রা সেখানে লাল কাপড় টাঙিয়ে সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তবে বিকল্প রাস্তা না থাকায় বাধ্য হয়েই ঝুঁকি নিয়ে এ সড়কে চলাচল করছেন মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা কড়ইগড়া গ্রামের জহির মিয়া বলেন, ‘বহু বছর আগে মেঘালয় পাহাড় থেকে নেমে আসা ছড়ার ওপর এ ব্রিজটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এখন এটি ধ্বংসপ্রায়। প্রতিদিন মৃত্যুকে সঙ্গী করে এ পথেই চলাচল করছি।’
রজনী লাইন গ্রামের অটোরিকশাচালক কাউসার মিয়া বলেন, ‘ব্রিজটির অবস্থা এতটাই খারাপ যে যাত্রীদের নামিয়ে গাড়ি পার করতে হয়। শুধু এই ব্রিজ নয়, বারেকটিলা সড়কের আরও কয়েকটি কালভার্ট ভেঙে গেছে। সড়কটির অভ্যন্তরীণ অংশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে, কোথাও পাকা সড়কের ঢালাই উঠে গেছে।’
এ সড়ক দিয়েই সীমান্ত এলাকার কয়লা ও চুনাপাথরের তিনটি শুল্ক স্টেশন-বড়ছড়া, চারাগাঁও ও বাগলিতে যাতায়াত করেন ব্যবসায়ীরা। চারাগাঁও শুল্ক স্টেশনের আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স আবেদীন এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘গত তিন মাস ধরে ব্রিজের টপস্ল্যাবে বড় গর্ত হয়ে আছে। কিন্তু দায়িত্বশীল কেউ নজর দিচ্ছেন না। গুরুত্বপূর্ণ এ সড়কের উন্নয়ন দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষিত।’
এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘শিমুল বাগান সড়ক প্রকল্পের আওতায় ব্রিজটি নতুনভাবে নির্মাণের পরিকল্পনা রয়েছে। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হলেও স্থানীয়দের জমি সংক্রান্ত দাবির কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না।’
- মো. আব্দুল হালিম/এমআই