Logo

সারাদেশ

পুরাতন বন্দোবস্ত টিকিয়ে রাখতে চায় একটি পক্ষ : নাহিদ ইসলাম

Icon

আব্দুস সামাদ, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ১৬:৫৬

পুরাতন বন্দোবস্ত টিকিয়ে রাখতে চায় একটি পক্ষ : নাহিদ ইসলাম

ছবি : বাংলাদেশের খবর

একটি পক্ষ পুরাতন বন্দোবস্ত টিকিয়ে রাখতে চায় অভিযোগ করে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ‘আমরা বিচার চেয়েছি, সংস্কার চেয়েছি, নতুন সংবিধান চেয়েছি—কিন্তু তারা শুধু ক্ষমতার ভাগবাটোয়ারার কথা বলেছে।’ 

শনিবার (১২ জুলাই) সাতক্ষীরার খুলনা রোডের আসিফ চত্বরে এক পথসভায় তিনি বলেন, ‘যারা পুরাতন বন্দোবস্ত টিকিয়ে রাখতে চায়, তারাই আজ সংস্কারের পথের সবচেয়ে বড় বাধা। চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস আর বিভাজনের রাজনীতি দিয়ে এ দেশ আর চলবে না।’ 

তিনি বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানে জীবন দেওয়া মানুষের রক্তের বিনিময়ে গড়ে ওঠা শক্তিকে তারা দুই-তিনটি আসনের লোভ দেখিয়ে কিনে নিতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা জানে না, মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসা মানুষকে কোনো লোভ দিয়ে দমন করা যায় না।’ 

নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, ‘আমরা ৫ আগস্ট জাতীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। চেয়েছিলাম একটি পূর্ণাঙ্গ পুনর্গঠনের রূপরেখা। কিন্তু তারা বলেছে—তিন মাস, কখনো ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা বলেছি, আগে দেশ গড়ি, বিভাজন দূর করি, সংবিধান নতুন করে লিখি। কিন্তু তারা একবিন্দুও সায় দেয়নি।’

সাতক্ষীরার উন্নয়ন প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘সাতক্ষীরাবাসী এখনো রেলপথের সুবিধা পায়নি। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উন্নত হয়নি। জলবায়ু পরিবর্তন ও সুন্দরবন রক্ষার প্রশ্নেও তারা নির্লিপ্ত।’

তিনি আহ্বান জানান, ‘চাঁদাবাজদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। যে দেশের ছাত্রজনতা স্বৈরাচারী হাসিনাকে দিল্লি পাঠাতে পেরেছে, তারা চাঁদাবাজদের ঠেকাতেও সক্ষম। ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে আমরা নতুন ইশতেহার দেব, জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের সংগ্রামে নামব।’

পথসভায় আরও বক্তব্য রাখেন এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন, যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, দক্ষিণাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মূখ্য সংগঠক সারজিস আলম ও দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মূখ্য সংগঠক মেজবাহ কামাল।

পথসভা শুরুর আগে নেতৃবৃন্দ ‘জুলাই পদযাত্রা’য় অংশ নেন। 

এমএইচএস

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

জাতীয় নাগরিক পার্টি

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর