গোপনে দ্বিতীয় বিয়ে, স্ত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ সরকারি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৫, ১৯:৫২
-687268bb0efd8.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
স্বামীর নির্যাতন ও পরকীয়ার অভিযোগ তুলে বিচার চেয়েছেন গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার দীঘলিয়া এলাকার বাসিন্দা নওরিন সিদ্দিকা।
শনিবার (১২ জুলাই) গোপালগঞ্জ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়ন কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে নওরিন জানান, ২০১০ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি এস এম তাজ উদ্দিনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে তার বিয়ে হয়। তাজ উদ্দিন অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং বাগেরহাটের সিংগাতী এলাকার আউয়াল সরদারের ছেলে। বিয়ের পর তাদের দুটি ছেলে সন্তান জন্ম নেয়, যাদের বয়স বর্তমানে যথাক্রমে ১৪ ও ১০ বছর।
তিনি বলেন, ‘বিয়ের এক বছর পর থেকেই স্বামী যৌতুকের জন্য আমাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতে থাকে। একাধিকবার হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।’
নওরিনের দাবি, তার স্বামী একজন নারী লোভী প্রকৃতির এবং পরকীয়া সম্পর্কে জড়িত। এসব কারণে তিনি বহুবার যাত্রাবাড়ী ও লালবাগ থানায় অভিযোগ করেন, কিন্তু প্রভাবশালী মহলের চাপে কোনো প্রতিকার পাননি।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, তার স্বামী গোপনে টুঙ্গিপাড়ার শেখ আসমা সুলতানা নামের এক ডিভোর্সি নারীকে বিয়ে করেছেন এবং পরে হোয়াটসঅ্যাপে তাকে তালাকনামা পাঠান। এছাড়া, তাদের দুই সন্তানকে জোরপূর্বক নিয়ে গিয়ে মা ও সন্তানের যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছেন।
নওরিন জানান, গোপালগঞ্জ আদালতে মামলা করার পর আদালত গত বছরের ৩১ অক্টোবর তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক মীমাংসা করে আবার একসাথে থাকার নির্দেশ দেয়। কিন্তু স্বামী পুনরায় তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের সুবিচার চান।
পলাশ সিকদার/এআরএস