-68739fec5646b.jpg)
মো. হোসেন আলী। ছবি : সংগৃহীত
দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী কর্মকাণ্ড এবং চাঁদাবাজির সুস্পষ্ট অভিযোগে শেরপুর জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ও পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. হোসেন আলীকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল।
শনিবার (১৩ জুলাই) কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আবদুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মো. নূরুল ইসলাম নয়নের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে বেআইনি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় হোসেন আলীকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
বহিষ্কারের সিদ্ধান্তে জেলা ও পৌর যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আতাহারুল ইসলাম আতা বলেন, ‘দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষায় কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত সময়োপযোগী। বহুবার সতর্ক করেও হোসেন আলী সংশোধন হননি। এ ধরনের সিদ্ধান্ত দলের ভাবমূর্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ।’
সদর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক পারভেজ আহমেদ বলেন, ‘চাঁদাবাজির অভিযোগে অভিযুক্ত কেউ যুবদলে থাকতে পারে না। এটি যুবদলের অভ্যন্তরীণ শুদ্ধি প্রক্রিয়ার বড় পদক্ষেপ।’
জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক হযরত আলী বলেন, ‘অপরাধ করে কেউ দলের ছত্রছায়ায় থাকতে পারে না। হোসেন আলীকে অনেকবার সতর্ক করা হয়েছিল। এই বহিষ্কার স্বস্তিদায়ক।’
জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ পলাশ বলেন, ‘দলীয় পরিচয়ে অপরাধ করলে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে এ বার্তাই দেওয়া হয়েছে।’
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘বিএনপিতে চাঁদাবাজির জায়গা নেই। দলীয় আদর্শ ও শৃঙ্খলা রক্ষায় যেকোনো অপরাধের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে।’
মো. শাহরিয়ার শাকির/এআরএস