কুমারখালীতে পেঁয়াজ-রসুনের ঝাঁজ বেড়েছে, বিপাকে ক্রেতারা

কুমারখালী (কুষ্টিয়া)
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ২০:১৫

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার ব্যস্ততম বাজার চৌরঙ্গীতে হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। বাজারে রোববার (১৩ জুলাই) প্রতি মণ দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১,৬০০ থেকে ১,৭৫০ টাকা দরে, যেখানে গতকাল এ দাম ছিল ১,৪৫০ থেকে ১,৫৫০ টাকা। একইসাথে রসুনের দামও বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮,৫০০ থেকে ৯,০০০ টাকা প্রতি মণ, যা গত সপ্তাহে ছিল ৭,২০০ থেকে ৭,৫০০ টাকা।
পাইকারি পর্যায়ে সরবরাহ কমে যাওয়ায় খুচরা বিক্রেতারা প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৬৫-৭০ টাকা এবং দেশি রসুন ২২০-২৪০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির সাধারণ ভোক্তারা।
বিক্রেতা আবু তালেব বলেন, গোডাউনে মাল কম, দাম বেশি। আমরা তো লাভ না বাড়িয়ে আগের মতোই বিক্রি করতে চাই, কিন্তু কিনতেই তো বেশি লাগছে।
একই কথা বলছেন রসুন বিক্রেতা মো. মনিরুল ইসলাম. চীন থেকে রসুন আসছে কম, আবার পরিবহণ ভাড়াও বেশি। সব মিলিয়ে দাম হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে।
অন্যদিকে ক্রেতারা বলছেন, বাজারে তেমন কোনো দুর্যোগ না থাকা সত্ত্বেও নিত্যপণ্যের দামে বারবার এমন উল্টা-পাল্টা দামে সাধারণ মানুষকে দিশেহারা করে তুলছে।
ক্রেতা রাশেদা খাতুন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পাঁচ কেজি পিয়াজ-রসুন কিনতে গিয়েই এক হাজার টাকা খরচ হয়ে গেল। প্রতিদিন তো আর আয়ের পরিমাণ বাড়ছে না!
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরবরাহ ব্যবস্থা দুর্বল, পরিবহণ ব্যয় বৃদ্ধি এবং কিছু অসাধু ব্যবসায়ীর মজুদের কারণে বাজারে এমন অস্থিরতা তৈরি হচ্ছে। তাঁরা দ্রুত বাজার মনিটরিং ও নিত্যপণ্যে আমদানি বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
এ অবস্থায় বাজারে স্বস্তি ফেরাতে স্থানীয় ভোক্তারা প্রশাসনের কঠোর নজরদারির দাবি জানাচ্ছেন। তারা চান, কৃত্রিম সংকট তৈরি করে যেন কেউ নিত্যপণ্যের দাম বাড়াতে না পারে।
ভোক্তাদের দাবি, টিসিবির মাধ্যমে পিয়াজ-রসুন সরবরাহ বাড়ানো, বাজারে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা এবং গোডাউন মনিটরিং জোরদার করতে হবে।
ভোক্তারা জানান, পেঁয়াজ ও রসুনের বাজারে অস্থিরতা আবারও চোখে পড়ছে। এমন অবস্থায় বাজার নিয়ন্ত্রণে জরুরি পদক্ষেপ না নিলে সামনে ঈদ বা উৎসবকেন্দ্রিক সময়গুলোতে আরও বিপাকে পড়বে সাধারণ মানুষ।
উজ্জ্বল মাহমুদ/এমএম