গুলির মুখে ইজারাদার, থমকে গেছে নৌ-চ্যানেলের কার্যক্রম!

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৩:১৪
---2025-07-14T131253-6874ae3fe5ab5.jpg)
ছবি : সংগৃহীত
পদ্মা নদীতে ইজারাকৃত নৌ-চ্যানেল থেকে বৈধভাবে চ্যানেল চার্জ আদায়ের চেষ্টা করলে হামলা ও গুলির মুখে পড়ছেন ইজারাদারের কর্মীরা। এতে থমকে গেছে আদায় কার্যক্রম।
ঘটনাটি ঘটেছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও পাবনার ঈশ্বরদীর মধ্যবর্তী পদ্মা নদীর গোয়ালন্দ-পাকশি নৌ-চ্যানেলে।
অভিযোগ উঠেছে, স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী জাকারিয়া পিন্টু ও তার ভাই মেহেদী হাসানের নেতৃত্বাধীন একটি চক্র নিয়মিতভাবে ইজারাদারের লোকজনকে ভয়ভীতি ও গুলিবর্ষণের মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছে।
গত সপ্তাহে চ্যানেল চার্জ তুলতে গেলে স্পিডবোটে এসে গুলিবর্ষণ করে ওই চক্র। ভুক্তভোগী ইজারাদার প্রতিষ্ঠানের সহকারী পরিচালক খন্দকার সোহেল বলেন, ‘আমাদের লোকজন খাজনা তুলতে গেলে পিন্টু বাহিনী তাদের গুলি করে, মারধর করে, টাকা লুট করে নেয়। এমনকি এক ব্যক্তির রগ কেটে দেওয়া হয়, তিনজনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।’
ইজারাদার মো. নাছির উদ্দিনের মালিকানাধীন গ্রুপঅন সার্ভিসেস প্রাইভেট লিমিটেড ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ঘাটের ইজারা পায়। বিআইডব্লিউটিএ’র আরিচা নদীবন্দরের উপপরিচালক মো. সেলিম শেখ স্বাক্ষরিত ২৬ মে ২০২৫ তারিখের এক চিঠি অনুযায়ী, ১ জুন ২০২৫ থেকে ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত ইজারার কার্যকারিতা রয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, নাছির উদ্দিনের অনুকূলে ঘাট হস্তান্তরের বিষয়ে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও সহযোগিতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও নৌ–পুলিশ কর্মকর্তাদের চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তবে বাস্তবে ঘাট বুঝে পেলেও সেখানে চাঁদা তোলা কার্যক্রম নিয়মিতভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও লক্ষীকুন্ডা নৌ–ফাঁড়ির ওসি জানিয়েছেন, গুলির ঘটনা সম্পর্কে তাঁরা শুনেছেন, একজন আহত হয়েছেন বলেও জানান। তবে কারা গুলি করেছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
অভিযুক্ত জাকারিয়া পিন্টু ও তার ভাই মেহেদী হাসানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
পাবনার পুলিশ সুপার মো. মোরতোজা আলী খানের সরকারি নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ‘বৈধভাবে ইজারা নেওয়ার পরও যদি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা না পাওয়া যায়, তাহলে রাজস্ব আদায় কার্যক্রম কীভাবে চলবে?’
- আকরামুজজামান আরিফ/এমআই