আলফাডাঙ্গায় চরাঞ্চলের খামারিদের মাঝে হাঁস বিতরণ

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ১৭:৪৮
---2025-07-14T174852-6874eea8bfc3d.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মধুমতি নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলের নারী-পুরুষদের আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে স্বাবলম্বী করে তুলতে খামারিদের মাঝে হাঁস বিতরণ করা হয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) সকালে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ১০০ সুফলভোগী খামারির হাতে ২১টি করে মোট ২ হাজার ১০০টি হাঁস প্রদান করা হয়।
এরআগে এ উপলক্ষে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাসেল ইকবালের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্প পরিচালক ডা. মোহাম্মদ আব্দুর রহিম।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবেন বাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন, জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সঞ্জীব কুমার বিশ্বাস ও জেলা প্রাণিসম্পদ প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা ডা. এ কে এম আসজাদ।
এসময় বক্তারা বলেন, এ ধরনের উদ্যোগে শুধু যে আয় বাড়বে তা নয়, চরাঞ্চলের মানুষের পুষ্টি চাহিদা পূরণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়াও স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগে আত্মকর্মসংস্থান গড়ে তোলার সুযোগ তৈরি হওয়ায় এসব পরিবার ক্রমান্বয়ে স্বাবলম্বিতার পথে এগিয়ে যাবে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মধুমতি নদী বিধ্বস্ত চরাঞ্চলের মানুষদের জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সুফলভোগী খামারিকে পর্যায়ক্রমে গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস ও মুরগি দেওয়া হবে। উপজেলার টগরবন্দ, গোপালপুর, বানা ও পাঁচুড়িয়া ইউনিয়নের নদীভাঙন কবলিত এলাকার ১ হাজার ৮৪৮ জন হতদরিদ্র নারী-পুরুষকে পর্যায়ক্রমে এ প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। এর ফলে তারা নিজেদের ঘরে বসে ছোট পরিসরে পশুপালন ও হাঁস-মুরগির খামার গড়ে তুলতে পারবেন।
উপজেলার চর খোলাবাড়িয়া গ্রামের উপকারভোগী জাহেদা বেগম বলেন, ‘আমরা চরাঞ্চলের মানুষ। আমার স্বামী কৃষিকাজ করে কোনরকম সংসার চালায়। ২১টি হাঁস পেয়ে অনেক উপকার হয়েছে। হাঁস পালন করে সংসারে নতুন করে সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে পারব।’
আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ভবেন বাইন জানান, ‘আজকে ১০০ খামারিদের মধ্যে ২১টি করে হাঁস বিতরণ করা হয়েছে। প্রতিটি খামারের ঘরের জন্য ৮ হাজার ৮০০ টাকা ব্যয়ে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি এসব হাঁস পালনের জন্য তিনমাসের দানাদার খাদ্য দেওয়া হয়েছে।’
মিয়া রাকিবুল/এমআই