এনসিপির পথসভায় মঞ্চে উঠলেন না কেন্দ্রীয় নেতারা, আমতলীতে ক্ষোভ

বরগুনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৪ জুলাই ২০২৫, ২২:০২
-68752a2237c65.jpg)
ছবি : বাংলাদেশের খবর
বরগুনার আমতলী উপজেলার বাধঘাট চৌরাস্তায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জন্য অস্থায়ী মঞ্চ প্রস্তুত করা হলেও নেতারা মঞ্চে না উঠেই স্থান ত্যাগ করায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও হাতাশা দেখা দিয়েছে।
সোমবার (১৪ জুলাই) দুপুর ১২টা থেকেই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আমতলী উপজেলা কমিটির নেতাকর্মী ও শত শত সাধারণ মানুষ সভাস্থলে জড়ো হন।
প্রত্যাশা ছিল এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা মঞ্চে উঠে বক্তৃতা দেবেন এবং প্রান্তিক জনগণের কথা শুনবেন। কিন্তু সব আয়োজনকে উপেক্ষা করে কেন্দ্রীয় নেতারা পাশ দিয়ে চলে যান।
পথসভায় অংশ নিতে আসা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, কেন্দ্রীয় নেতারা সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, ডা. তাসনিম জারা এবং নাহিদা সারওয়ার নিভা মঞ্চে না উঠেই গাড়ি থেকে নেমে সামান্য সময় অবস্থান করেন এবং পাশ দিয়ে চলে যান। কেউ মঞ্চের দিকে ফিরেও তাকাননি। এতে হতাশ হয়ে পড়েন উপস্থিত নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ।
স্থানীয় বাসিন্দা আল মামুন বলেন, ‘আমরা দুপুর থেকে অপেক্ষা করেছি। কিন্তু নেতারা মঞ্চে না উঠে পাশ দিয়ে চলে গেলেন। এটা কি আমাদের প্রতি অসম্মান নয়?’
ডেকোরেটর ব্যবসায়ী লিটন মিয়া বলেন, ‘তাদের জন্যই মঞ্চ বানানো হয়েছিল, কিন্তু তারা উঠলেনই না। তাই এখন মঞ্চ গুটিয়ে নিচ্ছি।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী বলেন, ‘এত আয়োজনের পর যদি নেতারা সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথা না বলেন, তাহলে এমন কর্মসূচির মানে কী? এতে দলের প্রতি মানুষের আস্থা নষ্ট হবে।’
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অনেকেই বলছেন, রাজনীতি যদি জনতার ভিড়ের বাইরে থেকে চালানো হয়, তাহলে সেটি আর জনগণের রাজনীতি থাকে না।
তবে জানা গেছে, আমতলী পায়রা ফেরিঘাটে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও সারজিস আলম সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
বিষয়টি নিয়ে আমতলী উপজেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি আবদুল্লাহ বলেন, ‘জেলার কর্মসূচি থাকায় নেতারা উপজেলা পর্যায়ের সভায় অংশ নিতে পারেননি।’
এ বিষয়ে এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এবারের পদযাত্রা মূলত জেলা কেন্দ্রীক। সময় স্বল্পতার কারণে আমতলীতে মঞ্চে ওঠা সম্ভব হয়নি। ভবিষ্যতে আমরা উপজেলার প্রতিটি অঞ্চলে যেতে চাই।’
এআরএস