চুয়াডাঙ্গায় পৃথক হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৬ জুলাই ২০২৫, ১৫:৪৯

চুয়াডাঙ্গায় পৃথক হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড। ছবি : বাংলাদেশের খবর
চুয়াডাঙ্গায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তিন আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) দুপুরে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. আকবর আলী শেখ এ রায় ঘোষণা করেন।
দুটি ঘটনাই এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছিল। একটি ঘটে আলমডাঙ্গা উপজেলার বামানগর গ্রামে। অন্যটি জীবননগরের গঙ্গাদাসপুর গ্রামে।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- আলমডাঙ্গার বামানগর গ্রামের কাশেম আলীর ছেলে স্বাধীন আলী (৩৭) ও চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার ফার্মপাড়ার মৃত বিপ্লব হোসেনের ছেলে আশিকুর রহমান ওরফে বাদশা (২৭)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ৯ মে রাতে জমি নিয়ে পুরনো বিরোধের জেরে কামাল হোসেনকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করে দুর্বৃত্তরা। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। পরিবারের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। যেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরদিন ১১ মে নিহতের স্ত্রী সেলিনা আক্তার আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ওই বছরের ৩১ জুলাই থানার তৎকালীন পরিদর্শক ইকরামুল হোসাইন পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
মামলায় স্বাধীন আলী ও আশিকুর রহমান ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। আদালত সাক্ষ্য-প্রমাণ যাচাই করে তাদের দুজনকে মৃত্যুদণ্ড দেন। বাকি তিন আসামিকে খালাস দেন আদালত।
অন্যদিকে, ২০২২ সালের ১৬ জুন দুপুরে জীবননগরের গঙ্গাদাসপুর গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে কোদাল দিয়ে মাথায় আঘাত করে বাবলু রহমানকে হত্যা করা হয়। নিহতের স্ত্রী চায়না খাতুন জীবননগর থানায় মামলা দায়ের করেন। একমাত্র অভিযুক্ত ছিলেন জমির উদ্দিন (৪৮)।
তদন্ত শেষে উপপরিদর্শক সৈকত পাড়ে ওই বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত ১৪ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে জমির উদ্দিনকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট মারুফ সারোয়ার বাবু বলেন, দুটি মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষ এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে। আমরা মনে করি, এ রায় সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পথকে সুদৃঢ় করবে।
ফেরদৌস ওয়াহিদ/এমবি