ময়নাতদন্ত ছাড়াই গোপালগঞ্জে নিহতদের দাফন-সৎকার

বাংলাদেশের প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১৭ জুলাই ২০২৫, ২১:২৩
-(71)-6879157b1db8b.jpg)
গোপালগঞ্জে নিহত (বা থেকে) দীপ্ত সাহা, ইমন, সোহেল রানা এবং রমজান কাজী। ছবি : সংগৃহীত
গোপালগঞ্জে দফায় দফায় এনসিপি নেতাদের সঙ্গে হামলা-সংঘর্ষের সময় গুলিতে নিহত চারজনের কারোর সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত হয়নি; রাতেই তাদের দাফন ও সৎকার সম্পন্ন হয়েছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) দিনভর সংঘর্ষে নিহতরা হলেন- শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (৩০), কোটালিপাড়ার হরিণাহাটি গ্রামের কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (১৭), শহরের শানাপাড়ার সোহেল রানা (৩৫) এবং সদর উপজেলার ভেড়ার বাজার এলাকার ইমন।
এর মধ্যে পোশাক ব্যবসায়ী দীপ্ত সাহাকে বুধবার রাতে পৌর শ্মশানে সৎকার করা হয়। এ ছাড়া টাইলস মিস্ত্রির সহকারী রমজান কাজীকে বুধবার রাতে এশার নামাজের পর এবং মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী সোহেল রানা ও ক্রোকারিজ দোকানের কর্মচারী ইমন তালুকদারকে বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকালে পৌর কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত নিয়ে মৃতের পরিবারের সদস্যরাও কেউ কোনো কথা বলতে চাচ্ছেন না।
তবে বৃহস্পতিবার বিকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গোপালগঞ্জের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিফ করা হয়। সেখানে পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিকের কাছে সাংবাদিকরা সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের বিষয়ে জানতে চান।
তখন তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আইন প্রক্রিয়ায় পরবর্তীতে দেখা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘গোপালগঞ্জের ঘটনায় পুলিশের কারও গাফিলতি আছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হবে।’
রমজানের চাচা মনিরুজ্জামান বুধবার রাতে বলেন, ‘ঘটনার সময় রমজান শহর দিয়ে হেঁটে কাজে যাচ্ছিল। এ সময় সে গুলিবিদ্ধ হয়। সে ছিল টাইলস মিস্ত্রি।’
পরিবার কোটালীপাড়ার হলেও রমজানের জন্ম-কর্ম শহরেই বলে জানান তার চাচা। তিনি বলেন, রাতে মরদেহ হাসপাতাল থেকে স্বজনদের বুঝিয়ে দেওয়া হয়। পরে শহরের কবরস্থান মসজিদে রমজানের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই রাতে তাকে দাফন করা হয়েছে।
দীপ্ত সাহার বাবা সন্তোষ সাহা মারা গেছেন। দুই ভাই শহরের চৌরঙ্গী এলাকায় একটি তৈরি পোশাকের দোকান চালান। সংঘর্ষের মধ্যে দোকান থেকে বাসায় যাওয়ার পথে তিনি গুলিবিদ্ধ হন বলে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে কেন্দ্র করে দিনভর হামলা-সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় বুধবার রণক্ষেত্রে পরিণত হয় গোপালগঞ্জ শহরের পৌর পার্ক ও লঞ্চঘাট এলাকা। সংঘর্ষে নিহত হন চারজন। আরও অনেকে গুলিবিদ্ধ হন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৫ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে গুরুতর অবস্থায় তিনজনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
- এমআই