Logo

সারাদেশ

নিষিদ্ধ গাছের চারায় সয়লাব বাজার

Icon

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১৮ জুলাই ২০২৫, ১০:৫৫

নিষিদ্ধ গাছের চারায় সয়লাব বাজার

সরকারি নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও নীলফামারীর ডিমলায় ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা প্রকাশ্যে বিক্রি হচ্ছে। উপজেলার কলোনি বাজার, চাপানিহাট, শুটিবাড়ি, নাউতারা বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় এসব গাছের চারা বেচাকেনা অব্যাহত রয়েছে। এতে পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন স্থানীয় পরিবেশ সচেতন নাগরিকেরা।

গত বছরের ১৫ মে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি ও বৃষ্টি গাছের চারা উৎপাদন-রোপণ এবং বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে সরকারি-বেসরকারি ও ব্যক্তি পর্যায়ে এসব গাছ রোপণ ও বিপণন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

তবে সম্প্রতি স্থানীয় কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করেই এসব গাছের চারা বিক্রি করছেন কিছু ব্যবসায়ী। এক চারা বিক্রেতা বলেন, ‘মানুষ এসব চারা চায়। আগেই এনেছি, এখন বিক্রি না করলে লোকসান হবে।’

কৃষকেরা জানিয়েছেন, ইউক্যালিপটাস গাছ লাগানোর পর পাশের জমিতে পানি ধরে না। পাতা ঝরার জায়গায় মাটি কালো হয়ে যায়। এতে আশপাশের জমির উৎপাদন কমে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) জানিয়েছে, একটি পূর্ণবয়স্ক ইউক্যালিপটাস গাছ বছরে গড়ে ৯০ থেকে ১২০ লিটার ভূগর্ভস্থ পানি শোষণ করে। ফলে পানির স্তর নিচে নেমে যায় এবং পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

নীলফামারী জেলা পরিবেশ সংরক্ষণ ফোরামের সমন্বয়ক মো. মাহমুদ হাসান বলেন, এই গাছগুলো এখনই নিয়ন্ত্রণ না করলে ভবিষ্যতে এটি সবুজ মরুভূমির রূপ নেবে।

ডিমলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মীর হাসান আল বান্না বলেন, শুধু প্রশাসনিকভাবে নিষেধাজ্ঞা কার্যকর সম্ভব নয়। এ জন্য প্রয়োজন বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বিত উদ্যোগ ও জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরানুজ্জামান বলেন, নিষিদ্ধ গাছের চারা রোধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি প্রচারণা চালিয়ে মানুষকে পরিবেশবান্ধব গাছ লাগাতে উদ্বুদ্ধ করা হবে।

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর