সামনে আরও একটি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

শুক্রবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে বিচার, সংস্কার ও দেশ পুনর্গঠনের লক্ষে দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে মুন্সিগঞ্জ শহরে আয়োজিত জুলাই পদযাত্রায় ও পথসভা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

নাহিদ বলেন, ‘সামনে আরও একটি লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছি। গোপালগঞ্জে নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আরও দশটি জেলায় হামলা চালিয়েও আমাদের দমানো যাবে না।’

তিনি বলেন, ‘মুজিববাদের বিরুদ্ধে যে লড়াই আমরা শুরু করেছি, তা সমাপ্ত না করে ঘরে ফিরব না। জনগণের অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করেই ঘরে ফিরব।’

নাহিদ বলেন, ‘মুন্সিগঞ্জের নদী ভাঙন ও চাঁদাবাজি দূর করব। অবৈধ বালু উত্তোলন, চিকিৎসা সেবায় আমূল পরিবর্তন আনব। এ জেলায় শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের দুর্গতি রয়েছে। এজন্য মুন্সিগঞ্জের মানুষ গণঅভ্যুত্থানে যেভাবে প্রতিবাদ করেছিল। সেভাবে জেগে উঠতে হবে। এলাকায় এলাকায় প্রতিবাদের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে।’

প্রবাসীদের ভোটাধিকারের বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘এই মুন্সিগঞ্জের হাজার মানুষ প্রবাসে থাকেন। প্রবাসীরা দেশের অংশ ভোটাধিকার নিশ্চিত করব।’

এদিন সমাবেশে আরও যোগদেন দলটির সদস্য সচিব আক্তার হোসেন, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, মুখ্য সমন্বয়ক নাসির উদ্দীন প্রমুখ।

পথসভায় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, ‘আমরা যে সংস্কার চাচ্ছি এই সংস্কার নির্দিষ্ট কোন দলের নয়। সংস্কার বাংলাদেশের পক্ষে, জনগণের পক্ষে। আমরা দেখেছি অতীতে নেতাকে পূজা করা হয়েছিল। আমরা চাই পরবর্তী বাংলাদেশে এরকম যেন আর না হয়। এদেশ আর নেতা নির্ভর হবে না। নেতা ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। ফ্যাসিবাদবিরোধী মত ও সকল রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে পরিবর্তী বাংলাদেশ নির্মাণে সবাইকে ঐক্যভাবে কাজ করতে হবে ‘

হাসনাত আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য অবশ্যই তরুণ প্রজন্মের মানুষকে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কোনো গোলামীকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। জুলাই আগস্টের ঘোষণাপত্রের জন্য আগস্টে ৩ আবার সবাই একত্র হব।’

গোপালগঞ্জে হামলার প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদী পরিপূর্ণভাবে মুক্ত হয়নি। ফ্যাসিস্টমুক্ত করতে বাংলাদেশ আরও অনেক পথ বাকি। আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সেই পথ পাড়ি দিতে হবে। আমরা কিছুদিন আগে গোপালগঞ্জে যাই, আমরা ভেবেছিলাম একটি স্বাধীন বাংলাদেশের অংশ  সেই গোপালগঞ্জ। কিন্তু আমরা দেখেছি সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের আস্তানা হয়ে উঠেছে গোপালগঞ্জ।’

পদযাত্রা ও পথসভাকে কেন্দ্র করে শুক্রবার ভোর থেকেই দলটির মুন্সিগঞ্জ শহরের নেতাকর্মীরা সুপার মার্কেট এলাকায় সমবেত হতে শুরু করে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নেতাকর্মীদের জটলা বাড়তে থাকে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে সুপার মার্কেট এলাকায় দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত সভা চলে।

• আবু সাঈদ/এমআই