বিদ্যালয় চলাকালে প্রাইভেট পড়ানোর অভিযোগ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে

আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৯ জুলাই ২০২৫, ১৮:০৮
-687b8ac96fc80.jpg)
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলার বেজিডাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. খোশবুর রহমানের বিরুদ্ধে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) সকাল ৯টা ২৬ মিনিটে বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে, একটি শ্রেণিকক্ষে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির আটজন শিক্ষার্থীকে নিয়ে পাঠ দিচ্ছেন প্রধান শিক্ষক। তখন স্কুলের নিয়মিত ক্লাস চলার কথা সকাল ৯টা থেকে। উপস্থিত সাংবাদিকদের দেখে তিনি তড়িঘড়ি করে শিক্ষার্থীদের প্রাইভেট ছুটি দেন।
ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে ১০-১২ জন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ান। এর বিনিময়ে প্রতি শিক্ষার্থীকে মাসে ৫০০ টাকা করে দিতে হয়।
অথচ গত ১১ মার্চ প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে জারি করা এক নির্দেশনায় স্পষ্টভাবে বলা হয়, বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়ানো বা কোচিং করানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কোনোভাবেই বিদ্যালয় চলাকালে বা ছুটির দিনে শ্রেণিকক্ষ এ ধরনের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রধান শিক্ষক খোশবুর রহমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফলের জন্যই আমি বাড়তি পড়া দিই।’ তবে বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে প্রাইভেট পড়ানোর বিষয়ে তিনি সরাসরি কোনো উত্তর দেননি।
অভিভাবকদের কেউ কেউ জানান, বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পাঠদান না হওয়ায় এবং পরীক্ষায় ফেল করানোর ভয়ে তারা বাধ্য হয়ে প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়াতে দেন।
এ বিষয়ে আলফাডাঙ্গা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে প্রাইভেট পড়ানো সম্পূর্ণ অনিয়ম। একজন প্রধান শিক্ষক এমনটা করলে তা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এমন অভিযোগের সত্যতা যাচাই এবং প্রয়োজনীয় তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা। তারা বলেন, প্রাথমিক শিক্ষার পরিবেশ রক্ষা করতে হলে শিক্ষকসামাজকে নিয়মনীতির প্রতি আরও দায়বদ্ধ হতে হবে।
এমএইচএস