Logo

সারাদেশ

নীলফামারীতে মেলার নামে অবৈধ লটারি, ৩ জনকে কারাদণ্ড

Icon

ডিমলা (নীলফামারী) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ জুলাই ২০২৫, ১২:৫৮

নীলফামারীতে মেলার নামে অবৈধ লটারি, ৩ জনকে কারাদণ্ড

নীলফামারীতে মেলার নামে অবৈধ লটারি, ৩ জনকে কারাদণ্ড। ছবি : বাংলাদেশের খবর

নীলফামারীর ডিমলায় ‘গ্রামীণ কুটিরশিল্প মেলা-২০২৫’ এর নামে অবৈধভাবে লটারির টিকিট বিক্রির অভিযোগে তিনজনকে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শনিবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের ডাঙ্গারহাট বাজারে এ অভিযান চালানো হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ডিমলা সদর, সর্দারহাট, নাউতারা ও ডাঙ্গারহাটসহ বিভিন্ন হাটবাজারে লটারি বিক্রির নামে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আটককৃতদের মধ্যে ডিমলা সদর ইউনিয়নের উত্তর তিতপাড়া গ্রামের মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে মো. আব্দুল লতিফকে সাত দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। অপর দুইজন—পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার কুড়ালি পাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেন ও ডিমলার খগাখরিবাড়ি ইউনিয়নের সাগর ইসলামকে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

নাউতারা বাজারের ব্যবসায়ী আলী আহমেদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে এ অবৈধ লটারি বিক্রির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছিলাম। প্রশাসন ব্যবস্থা নেওয়ায় আমরা স্বস্তি পেয়েছি। আশা করি ভবিষ্যতেও এ ধরনের অভিযান চলবে।

তিনি আরও বলেন, লটারির ফাঁদে পড়ে অনেক উঠতি বয়সী ছেলে-মেয়ে বিপথে যাচ্ছিল। পড়াশোনায় মনোযোগ হারাচ্ছিল। এ অভিযান তাদের জন্য আশার বার্তা।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারজানা আক্তার বলেন, সাধারণ মানুষকে প্রলুব্ধ করে লটারি বিক্রি করা প্রতারণামূলক ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ অনুযায়ী দণ্ডবিধির ১৮৮ ধারায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, অভিযানের সময় লটারি বিক্রির কাজে ব্যবহৃত ১১টি বাক্স ও বিপুল পরিমাণ অবিক্রিত টিকিট জব্দ করা হয়েছে। জনস্বার্থে এ ধরনের অবৈধ কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে উপজেলা প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এমবি 

প্রাসঙ্গিক সংবাদ পড়তে নিচের ট্যাগে ক্লিক করুন

ভ্রাম্যমাণ আদালত

Logo
সম্পাদকমণ্ডলীর সভাপতি মোস্তফা কামাল মহীউদ্দীন ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সৈয়দ মেজবাহ উদ্দিন প্রধান, ডিজিটাল সংস্করণ হাসনাত কাদীর